টেকনাফ ৭১ ডেস্ক,
র্যাব-৭ এর অভিযানে সাগর পথে ইয়াবা পাচারকালে আনুমানিক ১২ কোটি টাকা মূল্যের ৩,৯৬,০০০ (তিন লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারপূর্বক ১২ জন বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক (রোহিঙ্গা) সহ ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক; মাদক পরিবহণে ব্যবহৃত একটি বোট জব্দ।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, মানবপাচারকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান কক্সবাজার হতে সাগর পথে ফিশিং বোটে বহন করে খালাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকায় দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদী এলাকায় তাদের আভিযানিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ ০২৪৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে একটি ফিশিং বোটের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় উক্ত বোটটি তল্লাশি চালিয়ে আসামীদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানোমতে নিজ দখলে থাকা বোটের ভিতর ০৩ টি ট্রাভেল ব্যাগে তল্লাশি করে ৩,৯৬,০০০ (তিন লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করে উক্ত বোটটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার হতে সাগর পথ ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় বড় চালান বাংলাদেশে আনয়ন করে পরবর্তীতে তা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা।
Leave a Reply