কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ফিশিং বোট গুলো এখন মাছ শিকারের পাশাপাশি ইয়াবা শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি প্রতিনিয়ত আটকও হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য অফিসের নিদেশর্না অমান্য করে ফিশিং বোটের মালিক গণ তালিকা ভুক্ত জেলেদেরকে বোটে না নিয়ে অবৈধ রোহিংগা মাঝি মাল্লা দিয়ে মাছ শিকার করছে। এই রোহিংগা মাঝি মাল্লারা মাছের বদলে নিয়ে আসছে মরণ নেশা ইয়াবার বড় বড় চালান। যা বোট মালিক গন খুশি হচ্ছে বলে জানা যায়।
সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে টেকনাফ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর দিয়ে যে সমস্ত ফিশিং নৌকা, বোট মাছ ধরার জন্য যাচ্ছে এদের সিংহ ভাগই মিয়ানমারের জল সীমানা থেকেই ইয়াবা নিয়ে আসছে। কারণে সীমান্ত তাদের পরিচিত।
বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসায়ী গণ টেকনাফের মাছ শিকারের ফিশিং বোট গুলো তাদের নিরাপদ রুট হিসেবে বেচে নিয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন চৌকি না থাকায় চোরাচালানীদের অর্পুব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়। বর্তমানে ইয়াবার পাশাপাশি কোটি টাকা মুল্যের আইস নামক আরেকটি মাদক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মুল কথা রোহিঙ্গা মাঝি মাল্লা ফিশিং বোটে থাকলে ইয়াবা নির্মুল করা মোটেও সম্ভব হবেনা বলে এলাকার লোকজন জানান।
এই বিষয়ে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লেঃ মোহাম্মদ নাঈমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোহিঙ্গা মাঝি-মাল্লাদের বিষয়ে সকল বাহিনীদের সাথে সমন্বয় করে ব্যবসাননেওয়া হবে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোহিঙ্গারা মাছ ধরা সহ কোন কাজে জড়িত হতে পারে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয়।
Leave a Reply