মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
অবশেষে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন নামের একটি জাহাজ ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছেছে। সকালে টেকনাফের দমদমিয়া কেয়ারি ঘাট দিয়ে সেন্টমার্টিনের সেন্টমার্টিন রওনা দেন।
চলতি মৌসুমের শুরুতে, অক্টোবর থেকে জাহাজ চলাচলের কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কারণে সেন্টমার্টিনে পর্যটক ওঠানামা একমাত্র জেটির পন্টুনে ফাটল দেখা গেলে। পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে চলতি পর্যটন মৌসুমে এই প্রথম কোনও জাহাজ সেন্টমার্টিনের দিকে যাত্রা শুরু হয়।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম যায়যায়দিনকে জানান, দুই মাস আগে থেকেই এ নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরুর করা ছিল কিন্তু হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ার ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেটির পন্টুনে ফাটল দেখা দেয়। পরীক্ষামূলকভাবে থেকে ৩১০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে আমাদের জাহাজ। তবে একটি মাত্র হাজার হওয়ায় অনেক যাত্রীদের টিকেট দেয়ার সম্ভব হয়নি।
এদিকে উত্তাল সাগরের ঢেউ আঘাত হানলে জেটির অধিকাংশ পন্টুন, রেলিং ও সিঁড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যার
কারণে প্রশাসন জাহাজ চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ কারণে দীর্ঘদিন সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। সার্বিক বিবেচনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলেও ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। নৌ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসনও অনুমতি দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জাহাজের অনুমতি মিলবে বলে জানান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী যায়যায়দিন কে জানান, জাহাজের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে পর্যটকবাহী একটি হাজার যাত্রা শুরু করে। জেটি মেরামতের কথা চিন্তা করে পর্যটকদের সুবিধার্থে একটু দেরিতে হলেও অধিকাংশ জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। জাহাজ ও সেন্টমার্টিন হোটেল মালিকদের সাথে কথা বলেছি এবং আগত পর্যটকেরা যাতে কোন ভাবে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply