হলদিয়ায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক,টেকনাফ ৭১
কক্সবাজারের উখিয়া হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় মধ্যে দিয়ে স্থগিত একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে আজ।
ভোট গণনা শেষে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইমরুল কায়েস চৌধুরী ১৬৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। দুই ধাপে তার মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯৪১০।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আ’লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের শাহ আলম পেয়েছেন ৯৩১ ভোট। দুই ধাপে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৮১৮১।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) উখিয়ার নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচনে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে।
সকাল ১১টায় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ।
প্রিজাইডিং অফিসার ও একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম তথ্যমতে, হলদিয়া পালং ৫নং ওয়ার্ড নলবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩০৫। তৎমধ্যে কাষ্টিং হয়েছে ২৬৪৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
পূর্বের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুল হক আমিন মেম্বার ও চশমা প্রতীকের গিয়াসউদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে সরকারদলীয় নৌকা প্রতীকের অধ্যক্ষ শাহ আলম ও ঘোড়া প্রতীকের ইমরুল কায়েস চৌধুরীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত (১১ নভেম্বর) উখিয়ার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হলদিয়াপালং ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিস ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে।
এর আগে ৮টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে অধ্যক্ষ শাহ আলম এর নৌকা প্রতীকের চেয়ে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরুল কায়েস চৌধুরী ৪৭০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।
Leave a Reply