ডেস্ক নিউজ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভেবে দেখা দরকার। আপনার চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে তারা এমন কিছু আজ্ঞা জারী করেন যার ফলে গোঠা দেশের মানুষের কাছে আপনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলে।
সুন্দর চরিত্র গঠনের শিক্ষা অর্জনের একমাত্র মাধ্যম ধর্মীয় গ্রন্থ। অথচ সেই শিক্ষার মাধ্যম ধর্মীয় গ্রন্থ বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ার মানে কি? হ্যাঁ কিছু কিছু লেখকের উগ্র ধর্মীয়বাদের গ্রন্থ রয়েছে। সেই উগ্র ধর্মীয় গ্রন্থ গুলো বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে। ঢালাওভাবে ধর্মীয় গ্রন্থ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হল তা ভেবে দেখা দরকার।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। ফজরের নামাজের পর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দিনের কাজ শুরু করেন। অবসর সময় পেলে অন্যান্য গ্রন্থের পাশাপাশি ধর্মীয় গ্রন্থও পড়েন। তারপরও কেন ধর্মীয় গ্রন্থ বিক্রিতে এই নিষেধাজ্ঞা? যারা এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করছেন তারা কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই আদেশ দিচ্ছেন ?
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পবিত্র ধর্ম ইসলামকে রিসার্চ করার জন্য। ইসলাম যে মানবতার ধর্ম, সাম্যের ধর্ম, শান্তির ধর্ম ইসলামে উগ্রবাদের কোন স্থান নেই সেই শিক্ষা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতেই বঙ্গবন্ধু ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামী ফাউন্ডেশনে অনেক বড় বড় লেখকদের হাজার হাজার ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে। এই ধর্মীয় গ্রন্থ গুলো পড়লে আমাদের নতুন প্রজন্মদের মাঝে উগ্রবাদ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হবে। ইসলাম যে শান্তি ও সাম্যের ধর্ম সেই শিক্ষা লাভ করতে পারবে। এতে উগ্র-জঙ্গীবাদের বীজ তলা নষ্ট হয়ে যাবে। ইসলামের অমিয় শান্তির বাণী গোঠা দেশের মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। যার ফলে সুনাগরিক গড়ে উঠবে। সুনাগরিক গড়ে উঠলে দেশ থেকে মাদক দুর্নীতিসহ নানা অপরাধ মূলক কাজ হ্রাস পাবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
জাতির জনকের সেই লক্ষ্য উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছে দিতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ স্থাপন করার যে উদ্যোগ নিয়ে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা শুরু করেছেন সেই মডেল মসজিদে লাইব্রেরী থেকে শুরু করে ইসলামের সঠিক সংস্কৃতি চর্চার বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছেন। অর্থাৎ নামাজের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা সংস্কৃতি শিক্ষা লাভের কেন্দ্র বিন্দু হবে এই মডেল মসজিদ। পৃথিবীতে যত চরিত্রবান মানুষ রয়েছে তার মাঝে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ ধর্মীয় অনুশাসনের উপর ভিত্তি করে ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেই চারিত্রিক ভাবেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছেন।
অথচ আমাদের দেশে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত লাগার মতো ধর্মীয় বই বিক্রিতে এবারের বই মেলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই আদেশ এমনই হওয়া যেত ধর্মীয় বই না বলে উগ্র জঙ্গীবাদ ভাবাপন্ন বই বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তা না করে বললেন ধর্মীয় গ্রন্থ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা! যার ফলে সাধারণ মানুষের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ধর্মীয় অনুভূতি সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে এখুনি ভেবে দেখা দরকার। আসলে এরা কি চাই?
লেখকঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সাংবাদিক
তারিখঃ ২৩/০২/২০২২খ্রীঃ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com