জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শালিসের মিমাংসা হওয়ার পরও সাবরাংয়ে বসতবাড়ী দখলে নিল প্রভাবশালী চক্র
মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ
টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিন নয়াপাড়া ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রশিদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিলেন তার মেয়ে তাছমিন আক্তার। পরে তার পিতা মারা যাওয়ার পর তার বোনের সাথে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আছে পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সালিশের মাধ্যমে একই এলাকার বিবাধী মৌলবী ইয়াহিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের সাথে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বায়না মুলে ৬ লক্ষ টাকায় সমাধান হয়। কিন্তুু বিবাধীগন উক্ত শালিসের রায় অমান্য করে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সম্পত্তির লোভে নির্দিষ্ট সময়ের আগে দখল করে নেয়।
থানায় দেওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে বিবাধীগন অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তাদের পরিবারের উপর হামলা চালায় এবং বিভিন্ন সময় তাদেরকে প্রান নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তাসমিন আক্তার বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিবাদীরা হলেন একই এলাকার মৌলবী ইয়াহিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার,
মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে মৌলবী ইয়াহিয়া, কোয়াইফ, আব্দুল্লাহ (প্রকাশ কালু) সর্ব পিতা মৃত ছৈয়দ আহমদ।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ফয়েজ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়টি আমরা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসে ৬ লাখ টাকায় মিমাংসা করেছিলাম এবং উক্ত বসত ভিটার একটি বায়না নামাও রয়েছে আমার হাতে। বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেছি। তারা বিচারের রায়ের সিদ্ধান্ত অমান্য করে পেশীশক্তিক বলে পুনরায় সেই বসত ভিটা দখল করে নিয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী পরিবারটি সু বিচারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতার ভুগছে। তারা চিহ্নিত মাদক কারবারি বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিবাদী ইয়াছিন আক্তার কাছে বসতবাড়ি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা আগে ৬ লাখ টাকা দিয়ে বায়না নামা করেছিলাম ঠিক কিন্তু আমরা এখন আর বিক্রি করবো না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com