নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ
বন্দি ৪১ বাংলাদেশী নাগরিক কে ফেরত দিল মিয়ানমার। বুধবার (২৩ মার্চ) বিকালে টেকনাফ পৌর শহরের বাংলাদেশ -মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাটে বন্দিদের ফেরত আনা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান,
মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে সাজাভোগ শেষে সে দেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৪১ নাগরিক
মানবেতর জীবন যাপন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি এবং মিয়ানমার সিতওয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলেট দীর্ঘ ১ বছর কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদেরকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে।
তার ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৩মার্চ) দুপুরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ( মিয়ানমার পিওই) ( P O E ) তে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে
বাংলাদেশের পক্ষে ১৬ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেন্তৃন্ত দেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার ও মিয়ানমারের পক্ষে ৯ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেন্তৃন্ত দেন, মিয়ানমার পুলিশ লেঃ কর্ণেল কাও না ইয়াং শো, অধিনায়ক ১নং বডার্র গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ পিইন ফিউ।
উক্ত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটক ৪১ বাংলাদেশী নাগরিক কে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
মিয়ানমার ফেরত বাংলাদেশী নাগরিকেরা হলেন থাক্রমে ,
১ জাকির হোসাইন ২ নুরুল আবছার, ৩মোঃ আয়ুব খান ৪ মোঃ আব্দুল্লাহ ৫ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ৬ সাদ্দম হোসাইন ৭ আব্দুর বশিদ ৮ মোঃ শাকিব ৯ মং থিং মারমা ১০ চাইলাপূ মারমা ১১ নথিমং মারমা ১২ মংলংচিং মারমা ১৩ ইউ মং চিং মারমা ১৪ হালিমা খাতুন ১৫ উছাথুই মারমা ১৬ চাইন ডু অং মারমা ১৭ হারমনি ত্রিপুরা ১৮ হেহ্লে ত্রিপুরা ১৯ ডানিয়েল ত্রিপুরা ২০ থোয়াই লা চাই মরমা ২১ সাচিং মারমা ২২ থোয়াই কী চিং মারমা ২৩ সাধু অং মারমা ২৪ হ্লা সুইচিং মারমা ২৫ পাই সা থুই মারমা ২৬ আলী আহাম্মদ ২৭ মোঃ শরিফ ২৮ ইমরান হোসাইন ১৯ নুর কাশেম ৩০ নুর আলম ৩১ মোঃ আলম ৩২ করিম উল্লাহ ৩৩ মুর্শেদ আলম ৩৪ মোঃ রফিক ৩৫ জানে আলম ৩৬ বাবুল ৩৭ মুজিবুল্লাহ ৩৮ সুলতান ৩৯ মোঃ সলিম ৪০ মবগুল মাঝি ৪১ সাদেক।
তিনি আরো জানান, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ -মিয়ানমার এর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন বিজিবি।
উল্লেখ্য গত ৬ মে ২০২১ হতে
বাংলাদেশী নাগরিক বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গমনের অপরাধে বিজিপি কর্তৃক ধৃত হয়ে মিয়ানমারের কারাগারে সাজাভোগ করে আসছিল।
মিয়ানমার হতে ফেনত আনা ৪১ জন বাংলাদেশী নাগরিক পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এর সমন্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাথার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এরফানুল হক চৌধুরী, টেকনাফ ২বিজিবির উপ পরিচাল লেঃ এম মুহতাছিন বিল্লাহ, টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) খোরশেদ আলম।
Leave a Reply