নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার ড্রেন ও সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করছে প্রভাব বিস্তারকারী দখলকারী আশরাফ আলী ও তার ভাই শওকত আলী। এনিয়ে কক্সবাজার জেলা আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা মানছে না দখলদাররা।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং পৌরসভার ড্রেন দখল করে ও মানুষের চলাচলের পথে বিঘ্ন ঘটিয়ে দোকান নির্মাণ করে যাচ্ছে।স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টেকনাফ সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী উক্ত জায়গা জবর দখলকারী মৌলভী আশরাফ আলীকে দোকান নির্মাণ বন্ধ রাখতে সরেজমিনে এসে বলে যান। তিনি আরো বলেন, দোকান নির্মাণ বন্ধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত আয়ুব আলীর ছেলে মৌলভী আশরাফ আলী (৪২) ওই দোকান ঘর নির্মান করছে। যে জমিতে তিনি দোকান ঘর নির্মান করছেন সে জমির বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা ও চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আশরাফ আলী কে বার বার আদালত, সওজ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে অবকাঠামো নির্মাণ করতে নিষেধ করলে ও তা কর্ণপাত করছেন আশরাফ আলী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারী অর্পিত সম্পত্তি ১৯৬৯- ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সরকারী ভাবে উক্ত দাগের জমির খাজনা আদায় করে আসছিল মৃত আব্দুল হালিমের পুএ মৃত আবদুল ওয়াছের গং পক্ষ। সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ১৩ শতক জমি যাহার তফসিল নং আর এস দাগ ৫৫৬০ এর বিএস দাগ ৪৫২,৪৫৩ এর ৬৭১ এর বিএস খতিয়ানের ৮৮৫ নং কবলা ভূয়া ও মিথ্যা বানোয়াট ভাবে সৃজন করে সরকারি জমি গ্রাস করে ও জবর দখল করে মৌলভী আশরাফ আলী। এই চক্রের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে মিথ্যা ভূয়া দলিল বি এস খতিয়ান ও অবৈধ দিয়ারা খতিয়ান সৃজন করে ভূমি জবর দখল করা।
সে একজন টেকনাফের চিহ্নিত ভূমিদস্যু।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সওজের নির্বাহী কর্মকর্তা জানালেন, উক্ত জায়গার বিষয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইউএনও দু'পক্ষের সাথে কথা বলেছেন আশরাফ আলীকে দোকান নির্মাণ না করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশও দিয়েছেন। সে ইউএনওর নির্দেশ না মেনে দোকান ঘর নির্মাণ করে ফেলছেন। সব কিছু জানার পরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান নির্মান কারী আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার দুর্নীতিবাজ ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে এবং জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জবরদখল মুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার সহযোগিতা কাম্য। উক্ত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও ভূমিমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com