সংবাদ বিজ্ঞপ্তি,
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমাকে আসামি করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা”
গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার আমার নিজ ইউনিয়ন হ্নীলা ইউনিয়নেল ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা পেটান আলীর ছেলে আলমের সাথে ২নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা সোনালীর ছেলে সাইফুলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুইজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন, তাদের মারামারিতে উভয়ের আত্মীয়-স্বজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।একই দিন জুমার নামাজের পর উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এক পর্যায়ে ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বেলাল উদ্দিনের নির্দেশে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
ঘটনার দিন আমি কক্সবাজার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম। সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে আমি দ্রুত টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন করি। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে,আমি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সহযোগিতা করি।পরে র্যাব ১৫ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।
পরিস্থিতি শান্ত হলে আমি গন্তব্য স্থল কক্সবাজারের চলে যাই। রবিবার রাতে জানতে পারলাম ২ নং ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে আমার নাম দেখে আমি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। আমাকে ছকুমের আসামি করা হয়েছে কেন? কি কারনে আমাকে আসামি করা হয়েছে তা হয়তো মামলার বাদী বলতে পারবেন। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য আমার প্রতিপক্ষরা এমন ঘৃণ্যতম কাজ করেছেন।
রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু এই ধরনের অপরাজনীতি ও প্রতিহিংসা কখনও কাম্য নয়। জানতে পারলাম তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীকে টাকা দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় নিউজ ও করেছে। আমি আশা করব টাকার কাছে বিবেক বন্ধক না রেখে গণমাধ্যম কর্মীরা সত্য সংবাদ প্রকাশ করবেন।
আর আমি খবর দিয়ে পুলিশকে পরিস্থিতি শান্ত করার যে চেষ্টা করেছি এটি কি তাহলে আমার অপরাধ?
এমন হলে পৃথিবীর বিবেকবান কোন মানুষ অন্যের বিপদে এগিয়ে আসবে না। শুধু আমাকে নয় আমার আরো দুই ভাইকে আসামি করা হয়েছে। আমি এই ধরনের হীন কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মূলত আমি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি সেটি শুরু থেকে মেনে নিতে পারেনি একটি চক্র। যারা দীর্ঘদিন ছাত্রলীগকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল, তারা প্রতিনিয়ত আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে চায়। কিন্তু আদর্শের প্রতিযোগিতায় তারা বারবার হেরে যাচ্ছে। আমার জনপ্রিয়তা তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এটি সহ্য করতে না পেরে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আমাকে আসামি করেছে। মামলায় আসামি করা তাদের ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। আমি বিচলিত নই তবে হতাশ। কারণ রাজনীতিতে মেধার প্রতিযোগিতা হবে প্রতিহিংসার নয়।
একজন নিরপরাধ ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে একটি জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাওয়া কখনো কাম্য নয়। তারা যেমন চিন্তা করুক বা না করুক আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কোনো আপোষ করব না। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও পিতা মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়ন করে যাব ইনশাআল্লাহ। তবে আমি আশাবাদী তারা একদিন নিজের ভুল বুঝতে পারবেন। অপরাজনীতির প্রতিযোগিতা ছেড়ে মেধা ভিত্তিক রাজনীতির চর্চায় নামবেন।
পরিশেষে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দুষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে বিবেকবান সাংবাদিক ভাইয়েরা টাকার জন্য নয় সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সত্য প্রচারে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করি।
নুরুল মোস্তফা
সাধারণ সম্পাদক
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com