1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হত্যা মামলার আসামি রশিদ প্রকাশ্যে ঘুরছে, মামলা থেকে বাদ যেতে দৌড়ঝাঁপ আহবায়ক কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিক, সদস্য সচিব সাইফী সংস্কার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে টেকনাফ প্রেস ক্লাবের এডহক কমিটি গঠন কোস্ট গার্ডের অভিযানে উদ্ধারকৃত ৪৬ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা মেম্বারকে মা’র’ধ’রে’র অভিযোগ সেলিম মেম্বার তার বাহিনীর বিরুদ্ধে  সেভেন স্টার’ গ্রুপের ১২ গডফাদার শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের একাংশের তীব্র প্রতিবাদ টেকনাফে যৌ*তু*কে*র জন্য স্ত্রীকে বিদ্যুৎ শক দিয়ে হত্যা*র অভিযোগ  আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রে’প্তার বিএনপির সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন তামিম ইকবাল  উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায়

আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য শুধু কি পুলিশ প্রশাসন দায়ী? মোঃ শহীদুল্লাহ |টেকনাফ ৭১

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য শুধু কি পুলিশ প্রশাসন দায়ী?

জেলার রাজনৈতিক এবং সামাজিক নেতারা কি দায়ী নয় ? শহরের রাস্তা ঘাটের যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পুলিশ মুভ করতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় চলে যায়। এর জন্যও কি পুলিশ দায়ী ? খবর নিয়ে দেখেন শহরের প্রতিটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে রোহিঙ্গারাও জড়িত রয়েছে। পিএম খালীতে মোর্শেদকে দিনদুপুরে শত শত মানুষের সামনে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা কারীরা চিৎকার করে বলেছে উপরের নির্দেশেই মোর্শেদের উপর হামলা করছে। এর জন্যও কি পুলিশ দায়ী ? উপরের নির্দেশ দাতা কারা পুলিশ নিশ্চয় খুঁজে বের করবেন এটা আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি।

আমাদের শহরে যারা ভাড়া বাসার মালিক রয়েছে তারা উচ্চ ভাড়া পেলে বাছবিচার না করে নিজেদের ভাড়া বাসা গুলো রোহিঙ্গাদের ভাড়া দিচ্ছে। এর জন্যেও কি পুলিশ দায়ী? পুলিশ প্রশাসনের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কোন রোহিঙ্গাদের ভাড়া বাসা না দেওয়ার। আমরা কি সেই নির্দেশনা মেনে চলছি?

পুলিশ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে। আমরা যারা সচেতন নাগরিক বলে নিজেদের দাবী করি আমরা কি আমাদের এলাকায় যে সমস্ত ছেলেরা কিশোরগ্যাং করে ঠুনকো ঘটনায় হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা সংঘটিত করছে তাদের সম্পর্কে কোন তথ্য পুলিশকে দিচ্ছি? উল্টো নিজেরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পুলিশের কাছে ভুল তথ্য প্রদান করে যাচ্ছি। তার জলন্ত প্রমাণ হল শহরের কলেজ ছাত্র রিদুয়ান হত্যা কাণ্ড। খবর নিয়ে দেখতে পারেন রিদুয়ানকে যে ছুরিকাঘাত করেছে সে হল সাদ্দাম নামের একটি ছেলে। রিদুয়ান হত্যা মামলায় সাদ্দামকে আসামী করা হয়নি সাদ্দাম রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই যদি হয় আমাদের চরিত্র তাহলে পুলিশকে দোষ দেবেন কোন মুখে ?

আমাদের শহরে আমরা যারা সমাজপতি হিসাবে দায়িত্বে রয়েছি আমরা কি আমাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছি? না আমরা সকলে আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছি না। কেউ ভয়ে বা কেউ নেতাদের বিরাগভাজন হবার আশঙ্কায় আমরা আমাদের নিজ দায়িত্ব পালন করছিনা বা করতে পারছিনা। এই মনমানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমার আপনার ছেলে কোথায় যায় কি করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে খবর রাখতে হবে।

সন্ধ্যার পর কেন আমার আপনার স্কুল কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা ঘরের বাইরে থাকবে ? সন্ধ্যার পরতো তাদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা। আমরা যারা সন্তানের অভিভাবক হিসাবে নিজেদের দাবী করি আমরা কি আমাদের সন্তানদের গতিবিধি সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করি? সঠিক ভাবে করিনা বলেই আজ আমাদের অজান্তে আমাদের সন্তানরা কিশোরগ্যাং নামক বর্তমান সময়ের সামাজিক ক্যান্সারে জড়িয়ে পড়ছে। এর জন্যেও কি পুলিশ দায়ী।

যে কোন ঘটনা ঘটবার আগে আমাদের বোধোদয় হয়না। ঘটনা ঘটে গেলেই আমরা প্রতিবাদ করি তাও লোক দেখানোর স্বার্থে বা অনেকেই নিজ নিজ আত্মীয় স্বজনদের রক্ষা করতে এক প্রকার নাটক মঞ্চস্থ করি এটাই হল আমাদের বর্তমান অবস্থা। আসুন আমরা পুলিশকে দোষারোপ না করে ন্যায় নীতির ভিত্তিতে পুলিশকে তথ্য দিয়ে নিজ নিজ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সঠিক ভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি। তারপর দেখবেন আমাদের প্রাণের কক্সবাজারের অপরাধী ঘটনা সমূহ নিয়ন্ত্রণ হয়ে গেছে।

পরিশেষে বলবো আমাদের জনপ্রতিনিধি, সমাজপতি, রাজনৈতিক নেতা, যুবনেতা, ছাত্র নেতা যারা আছেন তাদের সকলকেই দলমত নির্বিশেষে একতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজ নিজ এলাকাকে কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবেনা। পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীকে বিট পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করে শহরের প্রত্যন্ত এলাকায় পালাক্রমে পুলিশ জনতার টহল জোরদার করতে হবে। যে সমস্ত রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে শহরের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় অবস্থান করে মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে যাবতীয় অপরাধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। যে সমস্ত রোহিঙ্গারা হোটেল রেস্তোরাঁয়, বাসাবাড়িতে, ঠিকাদারদের উন্নয়ন প্রকল্পে এবং টমটম ও রিকশা চালাচ্ছে জেলার ফিশিং ট্রলারে কাজ করছে তাদেরকে আটক করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠাতে কিংবা আইনের আওতায় আনতে না পারলে প্রাণের শহর কক্সবাজারকে মাদক অপরাধ ছিনতাই মুক্ত করা যাবেনা। সুতরাং শুধু শুধু পুলিশ কিংবা কাউকে দোষারোপ না করে আসুন আমরা আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করি।

লেখকঃ মোঃ শহীদুল্লাহ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কক্সবাজার জেলা ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি।
তারিখঃ ১৩/০৪/২০২২ খ্রীঃ

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!