টেকনাফে প্রতিনিধি,
সরকার প্রদত্ত বন্দোবস্তি দেওয়া জমির বসত বাড়ি ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট করে সর্বশান্ত করে তাড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু একটি গ্রুপ।বর্তমানে জমির প্রকৃত মালিক সর্বহারা।এর সুষ্ঠু প্রতিকার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাড়ির ও জমির মালিক প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নতুন পল্লান পাড়া এলাকার।
গত ৯ এপ্রিল তারিখ সকাল ৪ ঘটিকার সময় বিবাদী কলামে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ মোহাম্মদ রফিক প্রকাশ ডালিম পিতা মোঃ প্রকাশ পাইক মিস্ত্রি, সালামত উল্লাহ, মোহাম্মদ সেলিম পিতা মৃতঃ আব্দুর রহিম, ফারুক পিতা সিরাজ মিয়া,মোঃ ইসমাইল,শামসুল আলম পিতা মোঃ আমিন,মোহাম্মদ আরিফ পিতা শাহজাহান, লাল মিয়া পিতা আব্দুস শুকুর, আক্তার মিয়া পিতা মোঃ ইসমাইল, নুরুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ ইব্রাহিম মুন্না, মাহমুদুল হক হামিদুল হক সর্ব পিতা আহমদ হাসান, নতুনপাড়া ওয়ার্ড নম্বর ৪ টেকনাফ সদর ইউনিয়ন,থানা টেকনাফ কক্সবাজার।
উপরোক্ত ব্যক্তিরা আমার পরিবারের লোকজন পবিত্র রমজান মাসে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে বিবাদীরা ঘরের দরজায় নাথি দিতে থাকে,আমি ঘুম থেকে সজাগ হয়ে স্বামীকে ডেকে দিয়ে দরজা খুললে বিবাদীগণ আমাদেরকে অস্ত্র তাক করে আমার স্বামীকে কিল ঘুসি লাথি মেরে শরিরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করতে থাকে।তখন আমার যুবতি মেয়ে শাহেনাজ (২০) বিবাদীরকে বাধা প্রদান করলে বিবাদীগণ আমার যুবতি মেয়েকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে,এবং অপরাপর বিবাদীগণ টানা হেসরা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বাড়ির সকল সদস্য বাড়ি থেকে চলে আসি এই সুবাধে বিবাদী গন আমার ঘরে থাকা আমার দুই মেয়ের বিবাহের মোহরানা বাবদ জমা থাকা প্রায় দশ ভরি স্বর্ণালংকার যার মূল্য ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা ও আমার স্বামীর নিকট জমা থাকা বিভিন্ন জমির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ঘরের আসবাবপত্র যার আনুমানিক মূল্য ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমি এবং আমার স্বামী টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার আমাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায় হোসনে আরা বেগম (৪০) স্বামী জাহাঙ্গীর আলম,চৌধুরী পাড়া ওয়ার্ড নং ৭ টেকনাফ পৌরসভা, বর্তমান ঠিকানা নতুন পল্লানপাড়া ওয়ার্ড নং ৪ টেকনাফ সদর ইউনিয়ন।
উপরোক্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত অভিযোগটি টেকনাফ মডেল থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল জলিলের কাছে হস্তান্তর করে এবং উল্লেখিত ঘটনা তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু বাদির স্বীকারোক্তি মতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এখনো পর্যন্ত এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা এর প্রতিকারের আশায় ঘর ছেঁড়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল জলিলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় মেম্বার ইউপি সদস্য আব্দুল ফারুক সহ ঘটনাস্থলে আবার যাবেন এবং বিষয়টি আবার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com