নিজস্ব প্রতিবেদক
টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজার ১নং ওয়ার্ডে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ কৃত অধিকাংশ ধান বিভিন্ন রোগবালাই সৃষ্টি হয়ে উৎপাদিত ফসলের সিংহভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষক গণ। যার কারণে এ মৌসুমে হাজার হাজার টাকা গুনাগারি বা লোকসান গুনতে হবে অসহায় কৃষক দের। যেখানে কৃষকদের উৎপাদিত সোনালী ফসল নিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে বাড়ি ফেরার কথা সেখানে যদি কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে লোকসান দিতে হয় তাহলে কৃষক গণ আগামীতে চাষাবাদ করা থেকে অনীহা প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে ।
স্থানীয় কৃষক দের অভিযোগ, ধান গাছে ফসল আসার পর হতে ঘরে তুলার আগে যখন রোগাক্রান্ত হচ্ছে তখন আমরা উপজেলা কৃষি অফিসে হ্নীলা (১,২,৩) নং ওয়ার্ডে দায়িত্ব রত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করি, কি করলে আমাদের উৎপাদিত ধান রোগ থেকে রক্ষা পাবে।
তখন উপসহকারী নাজেম উদ্দীন আমাদের বলে তোমাদের ধান পুড়ে যাচ্ছে আমি কি করব। কোন সুরাহা না পেয়ে একিই বিষয় নিয়ে উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এসএম শাহজাহান এর সাথে যোগাযোগ করলেও কোন সৎ উত্তর পাইনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক গান ।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে স্থানীয় কৃষকেরা যেন দ্বিগুণ ফসল ফলাতে পারে সে জন্য উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখতে সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে নির্দেশ থাকলে ও তা মাঠে বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে উপসহকারী নাজেম উদ্দীনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাহার মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায়, উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার এসএম শাহজাহানের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান, আমরা সব সময় আমাদের দায়িত্বরত এলাকার কৃষক দের পাশে ছিলাম ও যথা সময়ে সঠিক পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তুু তারা আমাদের স্বীকার করেছেন যে , পানি শুকানোর পরে অতিরিক্ত ইউরিয়া সার প্রদান করায় এই রোগটি সৃষ্টি হয়েছে, যে রোগের নাম ব্লাস্ট রোগ, তবে তারা (এম ওপি) লবণ সার তারা ব্যবহার করা কথা থাকলেও তা ব্যবহার করেনি সে জন্য এ রোগ আসছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com