বিশেষ প্রতিবেদক:
উখিয়া জালিয়াপালং ইউপির মনখালী এলাকার মৎস্যজীবী বশরত আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছে এতে তাকে সহায়তা করে আসছে পুত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ কালু কিন্তু হঠাৎ করে বার্ষিক মাসোহারা না পেয়ে আবছার গ্যাংয়ের ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন মাছের ঘের ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন প্রশাসনকে ভুলবাল তথ্য দিয়ে বিব্রত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে এই ঘেরের প্রায় ২শ ফিট দক্ষিণে বাধ তৈরি করে ঘের করা হত তাতে আবছার নামের একজন বার্ষিক ২৫হাজার টাকা চাঁদা নিত তার সেই সীমানা বাদ দিয়ে হাবিবুর রহমানের জোত দাগে বাঁধ দেয়ায় আর টাকা দাবি করতে পারছে না আবছার উদ্দিন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে বলে অভিযোগ হাবিবুর রহমানের।
বৃহস্পতিবার, ১২ মে সরজমিন প্রদর্শন করে দেখা যায়,দুয়েকটা পত্রিকায় দীর্ঘ শত বছরের খালের উপর বাঁধ দেওয়ার কারণ শত শত বিঘা জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান খেত, সুপারি, শাকসবজি ও ফলমূলের বাগানের ক্ষতি হচ্ছে বলে প্রকাশ করা হলেও বাস্তবে দেখা যায় এই মৎস্য ঘেরে দক্ষিণ পাশে বিশাল লবণের মাঠ, পশ্চিম পাশে শাকের আহমেদের ছেলে মমতাজুল ইসলামের মাছের ঘের এবং সংলগ্ন মেরিনড্রাইভ ও উত্তরে আরেকটি মাছের ঘেরের সাথে লাগানো সামান্য কৃষি জমি যাতে শুধু বর্ষার সময় চাষ হয় এরও পূর্ব পাশে আরেকটি মাছের ঘের। সবমিলিয়ে কোন ধরনের বাগান কিংবা চাষের জমি নেই। শুধু তা নয় এদিকে মাহিম উদ্দিন বিভিন্ন হুমকিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরত এক মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে এইসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হলেও এসব মাছের ঘেরের সাথে তার কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও জানান তিনি।
মাহিম উদ্দিন জানান," ইনানি মৌজার বিএস ১১৪৬ খতিয়ানের ১২৩৩৪,৩৬,৩৩ দাগের জোত দাগে মূলত হাবিবুর রহমান মাছ চাষ করে। এই খালের পানি চলাচল করার জন্য তারা ৩০কড়া রেকর্ডী জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। এই খাল দীর্ঘদিন ধরে মরা অবস্থায় পড়ে আছে তাতে অনেকে মাছের ঘের করে আসছে। সবার মতো তারাও পানি চলাচলের জন্য পুলের ব্যবস্থা করে মাছের ঘের করছে। বর্ষার সময় এমনিতেই ঘের থাকে না। সরকারের দরকার মনে হলে তারাও ছেড়ে দিবে কিন্তু জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আবছার কামাল কাজলসহ কতিপয় লোকজন তাদের মাছের ঘের কেড়ে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা অসহায় মানুষ মাছের চাষ করে রাত-দিন পরিশ্রম করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছে। গ্রীষ্মকালে খালের পানি চলাচলের স্বাভাবিক ব্যবস্থা করে এই ঘের করছে। সাধারণ মানুষ কিংবা পরিবেশের কোন ধরনের ক্ষতি না করে মাছ চাষ করে মূলত দেশের মৎস্য খাতে অবদান রাখছে এসব মৎস্যজীবী।###
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com