মো. আরাফাত সানি/জামাল উদ্দিন; টেকনাফ
কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউপি'র লেচুয়াপ্রাং পাহাড়ি এলাকায় চাষাবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় ৪ জন বাংলাদেশী কৃষক অপহরণের শিকার হয়েছেন। (০৭ জানুয়ারি) শনিবার রাতে ওই ইউপির লেচুয়াপ্রাং পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার (০৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে বারোটার দিকে মুঠোফোনে আব্দুস সালাম এর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ও বাকি ৩ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন পাহাড়ি ডাকাতদল।
অপহৃত আব্দুল হাকিমের পরিবার সূত্রে জানায়, অপহৃত ৪ জনের মধ্যে আব্দুর রহমানের হাতে মোবাইল ছিল, সেই অপহৃত আব্দুর রহমানের মোবাইল থেকে ফোন করে অপহৃত আব্দুল হাকিম বলেছেন তাদের ছাড়িয়ে আনতে একজন থেকে ১০ লাখ টাকা ও আর ৩ জন থেকে ৫ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দিতে হবে এবং এখনো অপহৃতদের পাহাড়ে রাখা হয়েছে বলেও জানান। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধার করতে পারবে না, প্রশাসন ও সাংবাদিকদের জানালে তাঁদেরকে আরও জ্বালাতন করে বলে জানিয়েছেন অপহৃত হাকিমের পরিবার।
এদিকে আব্দুর রহমানের পরিবার জানান, গভীর রাতে আমার ভাই হাবিবুর এর মোবাইলে অপহৃত আব্দুর রহমান তার নিজস্ব মোবাইল থেকে হঠাৎ ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে। প্রশাসন বা সাংবাদিকসহ কাউকে না বলার জানান।
অপহৃত চারজন হলেন- হ্নীলা ইউপির লেচুয়াপ্রাং এলাকার আবুল হোছনের ছেলে আব্দুস সালাম, ছৈয়দ হোসেন ওরফে গুরা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, রাজা মিয়ার ছেলে মুহিবুল্লাহ ও ফজলুল করিমের ছেলে আব্দুল হাকিম। তাঁরা সবাই কৃষক। তাঁরা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
অপহৃত আব্দুস সালামের বড় ভাই রফিক মুন্সি জানান, পাহাড়ের পাদদেশে তাদের ক্ষেতের জমি আছে। যেখানে প্রায় প্রতিদিন পাহাড় থেকে হাতি নেমে ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে। তাই হাতি থেকে ক্ষেত রক্ষায় শনিবার রাতেই পাহাড়ে যায় চারজন। কিন্তু প্রতিদিনের মতো সকালে বাড়ি ফিরে না আসার কথা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজা খুঁজির পর পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দ্বারা অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে আজ সোমবার রাত দেড়টায় অপহৃত আব্দুর রহমানের মোবাইল থেকে ফোন করে অপহৃত সকলের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা দাবি করছে জেনেছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন- অপহরণের কথাশুনে গতকাল আমি স্থানীয়দের সাথে নিয়ে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) আমরা পাহাড়ের নিকটে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। আজ সকালে শুনলাম পাহাড়ে সন্ত্রাসীরা অপহৃত পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করতেছে। আমি স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করবো চিরুনি অভিযান পরিচালনা করার জন্য।
টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) আব্দুল হালিম জানান- অপহরণের খবর পেয়ে গতকাল পাহাড়ের পাদদেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অপহৃত পরিবারের ও স্থানীয়দের সাথে কথা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শীঘ্রই পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com