টেকনাফ প্রতিনিধি।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুার জেরে পরিকল্পিত ভাবে একই এলাকার শুক্কুর বাহিনীর হামলায় মোহাম্মদ আলমগীর (১৯) নামের এক যুবক চুরি কাঘাতে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে গুরুত্বর আহত মোহাম্মদ আলমগীর পিতা আব্দুল বারি বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- রমজান আলীর ছেলে মোঃ তাহের প্রঃ (নাট্য পুয়া) (২৮) নুর মোহাম্মদ এর ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৩৫), সাকের আহাম্মদ এর ছেলে নুর ফারুক (২২), মোঃ হোসেন, পিতা নুর মোহাম্মদ (৩২), রমজান আলী প্রকাশ ভান্ডারী (৫০) পিতা অজ্ঞাত, লাল মিয়ার ছেলে মোঃ আলী (২৫), মৃত শাহাব মিয়ার ছেলে জমির হোসেন (২৮), আব্দুল গফুর এর ছেলে মো. আয়াছ (২৫) মৃত নজু মিয়ার ছেলে আব্দুল গফুর (৫০) মৃত শাহাব মিয়া এর ছেলে কেফায়েত উল্লা (২০) খুইল্যা মিয়ার ছেলে মোঃ হাসান (২৭)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় – উপরোক্ত আসামীরা অত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাস্তান এবং খুন প্রকৃত লোক এবং তাহাদের বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রহিয়াছে। উপরোক্ত আসামীরা আইন-কানুন কিছুই মানে না। আসামীরা পূর্বের আক্রোশে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে সহ আমার ছেলেদেরকে মারধর করিয়া প্রাণে নাশ করিবে বলে হাঁকা বঁকা করিয়া আসিতেছে।
নিজ বসত ভিটায় আমার একটি মুদির দোকান রহিয়াছে। আজ ০৬/০২/২৩ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১ টায় এ সময় আমি দোকানে না থাকা অবস্থায় আমার ছোট ছেলে ওমর সাদেক (১২) দোকানে থাকিয়া বেচা-কেনা করিতেছে। উল্লেখিত সময়ে উক্ত আক্রোশে উপরোক্ত আসামীরা সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন দা, কিরিচ, লাঠি, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র ও ছোরা ইত্যাদি অস্ত্র শস্ত্রে পরস্পর বে-আইনি জনতা গঠন করে। দলবদ্ধ ভাবে আসিয়া আমার দোকানে প্রবেশ করে এবং আমার ছেলে ওমর সাদেককে দোকান হইতে চলিয়া যাওয়ার জন্য বলে এবং অত্র এলাকায় দোকান করিতে দিবে না বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিলে আমার ছেলে ওমর সাদেক আসামীদের হাতে উল্লেখিত অস্ত্র শস্ত্র দেখিয়া ভয়ভীতি হইয়া পলাইয়া যায়।
এই সময় আসামীরা আমার দোকান খানা টানা হেচড়া করিয়া ও কোপাইয়া ভাংচুর করিতে থাকে এবং দোকানে থাকা ৪০ হাজার টাকা এবং দোকানে থাকা ক্যাশে রক্ষিত নগদ ৫০ হাজার টাকা মোট ৯০ হাজার টাকা আসামীরা একে অপরের সহায়তায় লুটপাট করে নিয়ে যায়। ইহাতে আমার অপর ছেলে মোঃ আলমগীর (১৯) শোর চিৎকার শুনিয়া আগাইয়া আসিয়া বাধা সৃষ্টি করিলে সকল আসামীরা তাহার উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমন করিয়া হত্যা করার উদ্দেশ্যে টানা হেচড়া করিতে থাকে। তখন আমার ছোট ভাই কালা মিয়া আসিয়া বাধা দিলে তাহাকে ৫নং আসামী তাহার থাকা কিরিচ দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারা কালে উক্ত কোপ কালা মিয়া বাম কাঁধায় পড়িয়া গুরুতর রক্তাত্ত জখম হয় এবং ৮নং আসামীর হাতে থাকা দা দিয়া একই উদ্দেশ্যে কোপ মারিয়া কালা মিয়ার ডান পায়ের রানে গুরুতর রক্তাত্ত জখম করে। এমতাবস্থায় কালা মিয়ার পকেটে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ৭নং আসামী কেড়ে নিয়া ফেলে। অপরাপর আসামীরা আমার ছেলে মোঃ আলমগীরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করিতে থাকে।
একপর্যায়ে ১নং আসামী তাহেরের হাতে থাকা ছোরা দিয়া ছেলে মোঃ আলমগীরের তলপেটের বাম পার্শ্বে সজোরে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাত্ত জখম করে এবং পেটের নাড়ী- ভুড়ি বাহির হওয়ার উপক্রম হয়। শোর চিৎকার শুরু হইলে উপরোক্ত আসামীরা চলিয়া যাইতে এই বলে হুমকি দেয় যে, উক্ত ব্যাপারে মামলা করিলে পরবর্তীতে যাকে পায় তাহাকে খুন করিবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া ঘর-বাড়ী ও ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করিয়া চলিয়া যায়।
সংবাদ পাইয়া তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আসিয়া ছেলে মোঃ আলমগীর ও ভাই কালা মিয়াকে গুরুতর জখম দেখিয়া চিকিৎসার জন্য টেকনাফ হাসপাতালে আনিলে ডাক্তার ভাই কালা মিয়াকে চিকিৎসা করে এবং ছেলে মোঃ আলমগীরের অবস্থা গুরুতর দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করায় তাহাকে প্রেরন করার ব্যবস্থা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ করিতে বিলম্ব হয়। কালা মিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা পত্র সংযুক্ত এবং ছেলে মোঃ আলমগীরের চিকিৎসার ব্যবস্থা পত্র পরে দাখিল করিব।
বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তারা যেকোনো মুহূর্তে আমাদের উপর হামলা করতে পারে। তাদের রয়েছে অবৈধ অস্ত্র তাই উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, অভিযোগ হাতে পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply