টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজার টেকনাফ সদর ইউপি ৬ নং ওয়ার্ড ডেইল পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আবুল কাসেম পুত্র প্রবাসী মোহাম্মদ শাহ আলম ও মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ জিসান এর ২০ বছর আগে ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবরদখল চেষ্টা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে জমির মালিক ভুক্তভোগী প্রবাসী মোহাম্মদ শাহ আলম (০১ ফেব্রুয়ারি) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ১৪৪ ধারার বিধান মতে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে নিষেধাজ্ঞা দায়ের করেন।
এমনকি এর আগে গেল (৩১ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী প্রবাসী বাদি হয়ে কক্সবাজার আদালতে একটা ফৌজদারি সি.আর মামলা চলমান রয়েছে। যার মামলা নং –৪৬/২০২৩ ইং।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ বলা হয়েছে যে- ১ম পক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম, পিতা-মৃত মোহাম্মদ আবুল কাসেম, সাং-ডেইলপাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর, টেকনাফ, কক্সবাজারসহ ০২ (দুই) জন কর্তৃক ২য় পক্ষ হাফেজ আহমদ, পিতা-মৃত মাষ্টার আব্দুর রব, সাং-ডেইলপাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, টেকনাফ সদর, টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারসহ ১০ (দশ) জনের বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারামতে একখানা আবেদন করেন। বিজ্ঞ কৌশুলীর বক্তব্যে বলেন যে, নালিশী জমি ১ম পক্ষের দখলে রয়েছে এবং নালিশী জমির সকল ডকুমেন্ট আছে। ২য় পক্ষ জোরপূর্বক নালিশী জমি দখল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে শান্তিভঙ্গের আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। নথি পর্যালোচনা করে। সার্বিক বিবেচনায় সহকারী কমিশনার ভূমি টেকনাফ বিরোধীয় জায়গার বিষয়ে সাথে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে পাশাপাশি অফিসার ইনচার্জ, টেকনাফ মডেল থানা বিরোধীয় জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে ২য় পক্ষকে ২৭/০৩ /২০২৩ ইং তারিখের মধ্যে হাজির হতে নোটিশ করার জন্য বলা হয়েছে। এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আদালত উভয়পক্ষকে স্ব স্ব স্থানে থাকার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রবাসী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান- এখানে আমাদের দু ভায়েয় মোট জমির পরিমাণ ১৭৬২ শতক । আমি প্রবাসে থেকে এই জমি ক্রয় করে আমরা ২০ বছর যাবৎ ভোগদখল করছি। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ আমাদের জমিতে এসে একই এলাকার মৃত আব্দুর রবে ছেলে হাফেজ আহমদ (৫০) ও নুরুল বশরের ছেলে আব্দুল্লাহ, জাবেদ আহমদ, মো. আলম, হামিদ হোসেন প্রঃ ধইল্যা, আব্দুল্লাহ প্রঃ রুবেল সহ ১০ দশ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে তারা আমি এবং আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আদালত থেকে ১৪৪ ধারায় বিবাদীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইন অমান্য করে তারা অবৈধভাবে আমাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আমি তাদের নামে ফের টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ করছি। আমি আমরা নিরাপত্তা হীনতার ভুগছি। এবং প্রধান আসামি টিকাদান কর্মী হাফের স্থানীয় শীর্ষ কিছু মাদক কারবারিদের ইন্ধনেই আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং আমকে গুলি করবে মর্মে হুমকি দিচ্ছে তার একটি রেকর্ড আমার নিকট রয়েছে। তাই আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি। এবং আমার কিছু হলে তারাই দায়ী থাকিবে। পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রতি আমার অনুরোধ একজন টিকাদান কর্মী কিভাবে এমন আচরণ করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এবং গুলি করে হুমকি বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
Leave a Reply