অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের ২০ নাগরিককে যেভাবে গ্রেফতার করলো র্যাব-১৫
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং সহ বিভিন্ন ক্যাম্প হতে কৌশলে অবৈধভাবে বাহির হয়ে জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পলায়নের উদ্দেশ্যে একদল এফডিএমএন জেলার উখিয়া থানাধীন মরিচ্যা বাজার গরুর হাটে টেকনাফ- কক্সবাজার মহাসড়কে গাড়িতে উঠার জন্য অপেক্ষমান আছে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার সিপিএসসি এর আভিযানিক দল অদ্য ৫ই মার্চ সন্ধ্যায় বর্ণিত স্থানে র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পলায়নের চেষ্টাকালে বিশজন এফডিএমএন আভিযানিক দল কর্তৃক আটক হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত এফডিএমএনগন (রোহিঙ্গা) স্বীকার করে যে, পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার হতে কোন পাসপোর্ট, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কুতুপালং থ্যাইংখালীসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান করছিল। অদ্য দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থায়ীভাবে বসবাস ও অপরাধ সংগঠনের লক্ষে গমনের উদ্দেশ্যে বর্ণিত স্থানে অবস্থান কালে র্যাব-১৫, কাছে ধৃত হয়।
রবিবার গভীর রাত পৌনে বারোটায় গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতি: পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
আটককৃত হলেন- বশির আহম্মদ, সাব্বির হোসেন, আবুল মনসুর, নজু মিয়া, মোঃ আয়াছ, নূর মোহাম্মদ, সলিম উল্লাহ, আবু তাহের, সোনা আলী, মোঃ সায়দ, আলী হোসেন , রশিদ আহম্মদ, সাইদুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, আমীর হোসেন, রশিদ উল্লাহ, আমান উল্লাহ, আব্দুর রহমান, আব্দুল হামিদ, মো সেলিম।
তিনি আরও জানান, ধৃত এফডিএমএন (রোহিঙ্গা) পরষ্পর যোগসাজসে কুতুপালং, থাইংখালী ও অন্যান্য ক্যাম্প হতে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ এর অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে বের হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্থায়ীভাবে অবস্থান করে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করার লক্ষে বর্ণিতস্থানে একত্রিত হয় বলে জানা গেছে। আটককৃত এফডিএমএন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে উখিয়া থানায় লিখিত এজাহারসহ সোপর্দ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com