সংবাদ দাতা
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব রত ১৬ এপিবিএন পুলিশের এএসআই লোকমান হোসেন কর্তৃক হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকার স্থানীয় যুবক মোঃ শফিক কে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ মার্চ রাতে ওই ঘটনা ঘটে। আহত শফিক জাদিমুড়া এলাকার ইমাম হোসাইনের ছেলে। এ বিষয়ে ১৬ এপিবিএন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক বরাবরের একটি লিখিত আবেদনও করেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শফিক।
অভিযোগ পত্রে শফিক উল্লেখ করেন , আনুমানিক রাত সাড়ে নয় ঘটিকার সময় তারাবির নামাজ শেষে বাড়িতে যাওয়ার পথে এএসআই লোকমান তাহার সঙ্গীয় ফোর্স সহ আমাকে রাস্তায় গতিরোধ করে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার মুখে জুরে থাপ্পড় মারেন, পরে গালাগালি শুরু করেন এবং আমার হাত থেকে আমার মোবাইল কেড়ে নেন। পরে আমি মোবাইল ফেরত চাইলে আমাকে মোটা লাঠি দিয়ে বেদম মারধর শুরু করেন। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায় । বর্তমানে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়ার পাশাপাশি ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চালান করে দেয়ার হুঁমকিও দেন।
এ বিষয়ে এএসআই লোকমান হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ধরনের কোন কিছু হয়নাই, তাকে রাত ১২ টার দিকে রাস্তায় পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম তুমি এত রাত্রে এখানে কি করছ। গত কয়েক দিন আগেও এখানে দুই তিন টা অপহরণ হয়েছে মনে হয় তুমি কোন তথ্য নিতে বা দিতে আসছ। এত রাতে আর আসবেন না, যদি আপনেরা অপহরণ হন তাহলে আমরাতো দায়বদ্ধ থাকি কারণ ডিউটি রত অবস্থায় মানুষ অপহরণ হয় তখন আমার উপরে একটা অফিস থেকে চাপ আসে সে জন্য আমি তাকে নিষেধ করছি।
তিনি আরো জানান, তার বাড়ি হল এক জায়গায় সে আসছে অন্য জায়গায়। তবে তার সাথে আমার এমন কিছু ঘটেনি বলে দাবি পুলিশ কর্মকর্তার।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com