টেকনাফের আলোচিত স্বর্ণ- আইস লুটের ঘটনায় দালাল গফুর-নজির আহমদ সিন্ডিকেট রহস্যময় কারণে অধরা কেন? দাবী শাহপরীর বাসীর
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কক্সবাজার ৭১
টেকনাফ সাবরাং ইউপির শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া কোটি টাকার স্বর্ণ ও আইস লুটপাটের আলোচিত ঘটনায় দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর একাধিক সুত্রে তার নাম বেরিয়ে এসেছে দালাল গফুর ও নজির আহমদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তারা আত্মগোপনে থেকে ওই ঘাটের সভাপতি ও সম্পাদক দাবি করে মাদক কারবারে জড়িত হয়ে পড়ছে।
ঘটনার প্রধান মাস্টারমাইন গফুর ওরফে দালাল গফুর, নজির আহমদ, মেম্বারের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মোঃ জলিল, এশাআদুললাহ, আবদুল্লাহ, আবুল কালাম, রহিম উল্লাহ প্রকাশ বদি আলম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এ ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করছে গফুর ওরফে দালাল গফুর ও নজির আহমদ। তার স্বর্ণ ও আইস নেওয়া পর পুলিশকে খবর দিয়েছে। যদি এদের বিরুদ্ধে মামলা না হয় এরা ভবিষ্যতে আরো বড় অপরাধ কর্মকাণ্ড করতে ভয় পাবে না। দ্বীপ বাসীর দাবি এদের শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্ত গফুর প্রকাশ দালাল গফুর এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহাপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে আমরা উদ্ধারকৃত মামলার হস্তান্তর করেছি। আমরা পুলিশ ও কিছু সংবাদ কর্মীদের নিউজ না করার জন্য খরচও দিয়েছি।
শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন – উদ্ধারকৃত পণ্যগুলো টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। যদি মাদক হয় তদন্তপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। তবে অবৈধ স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শীঘ্রই তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে স্বর্ণ ও আইস লুটের আলোচিত ঘটনায় রহস্যজনক কারণে কাউকে আটক না করাই শাহপরীর দ্বীপবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ঘটনার আসল রহস্য বের করা।
সুত্র- দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকায়।
Leave a Reply