মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে তিয়ানশি (এমএলএম) কোম্পানিটি ওষুধ বিক্রি করার মাধ্যমে শতশত বেকার তরুণ তরুণীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জাজিরা পৌরসভার মাইনুল ইসলাম রোডের, শাহী মসজিদের পাশে পৌরসভা থেকে কসমেটিক্স পণ্য প্যাকেজিং ও মার্কেটিং এর ব্যাবসার নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তিয়েনশির ঔষধ বিক্রির অফিস খুলে বসেছে মিনারা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
বিশেষজ্ঞ কোনো ডাক্তার নেই, তবুও তারা বিক্রি করে আসছেন জটিল ও কঠিন রোগের ঔষধ। তাদের দাবী নিজেরা প্রথমে এই ঔষধ খেয়ে উপকৃত হয়েছেন, তারপর ঔষধ গুলো বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করে আসছেন তারা। প্রতিটি ঔষধের মূল্য ধরা হয়, ৯-১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসব ঔষধ কিনলে ক্রেতাকে নিতে হবে ডিলারশীপ। এরপর ক্রেতার এসব ঔষধ আরও দু'জনের কাছে বিক্রি করতে হবে। তারা আবার তাদের মতো করে আরও দু'জনের কাছে বিক্রি করবেন। এরপর বিক্রিত এসব ঔষধ থেকে পাবেন কমিশন।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় উক্ত অফিসটির পরিচালক (ডিস্ট্রিবিউটার্স) মিনারা আক্তারের(২১) সাথে তিনি বলেন,আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হেড অফিসে থাকে আমাদের কাছে থাকেনা,আমরা জোর করে কোন পণ্য বিক্রি করি না যার মন চায় সে নিবে।
ভুক্তভোগী একাধিক ব্যাক্তিরা জানায়, প্রথমে তাদের বলা হয় এখানে টাকা দিয়ে পণ্য কিনতে। যতো টাকা দিবে তার সমান মূল্যের পণ্য তারা পাবেন। এবং তাদের রেফারেন্সে কোনো ব্যাক্তি পণ্য কিনলে পাবেন তারও কমিশন। দেয়া হবে বেতন ভাতাও। তবে পণ্য বলতে দেয়া হয় ক্যালশিয়াম ঔষধ, টুথপেষ্ট ও ব্রেসলেট। যার মূল্য ধরা হয় ১৮-২০ হাজার টাকা। বাইরে তা পাওয়া যায় মাত্র একশো থেকে দেড়শো টাকায়। তাছাড়া ঔষধ গুলোর কোনো অনুমোদন নেই। এগুলো শরীরের ক্ষতি করবে কি না জানেন না তারা। এবং একবার টাকা দিলে আর ফিরত দেয়া হয়না টাকা। মানা হয়না কোনো পূর্বশর্ত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান সোহেল বলেন, এ বিষয়ে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com