নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফের সদর ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোদারবিল গ্রামের সাজেদ (২৪) এর ভাড়া করা বসতঘর হতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টেকনাফ বিশেষ জোন কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা, ৩টি পিস্তল, ১টি রিভলবার এবং ১৪১ টি গুলি এবং সন্ধিগ্ধ মাদক ৭০০ গ্রাম (সম্ভাব্য হিরোইন) উদ্ধার করেছে।
উক্ত অভিযানে ঘটনায় ৭জন কে পালাতক আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন, আবু সৈয়দের ছেলে আবদুল্লাহ (২৮), হোছন আহম্মদের ছেলে কাদের (৩৫), ইমাম হোসেনের ছেলে সাহেদ প্রকাশ সাজেদ (২৪), ইমাম হোসেনের ছেলে শাহ আলম (২০), হোছন আহম্মদের ছেলে সাদ্দাম (২৮), বশির আহম্মদের ছেলে আনোয়ার (৩৫), কালা মিয়ার ছেলে মো: কাসিম।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টেকনাফ বিশেষ জোনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরুল্ল্যাহ কাজল।
তিনি বলেন, টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফার তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারির নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম অদ্য রবিবার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোদারবিল গ্রামের সাজেদ(২৪) এর ভাড়া করা বসতঘরে অভিযান চালিয়ে উক্ত মাদক,অস্ত্র ও গুলি গুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে পরিচয় পর্বে টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফা জানান, আসামীরা মূলত মাদক ব্যাবসায়ী। টেকনাফে মাদক মজুদ ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিন্ডিকেট ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারের কৌশল হিসেবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করছে। এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় ০২টি নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা মুকুল, পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারি নাথ সহ অনেকেই।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com