টেকনাফ কক্সবাজার প্রতিনিধি।

কক্সবাজার টেকনাফের জোরপূবর্ক জমি দখলের চেষ্টা ও স্বামী- স্ত্রী'কে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদিকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন আসামিরা। মামলা তুলে না নিলে জীবন নাশের হুমকি প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে।

মামলাসূত্র ও বাদি আবদুল মাজেদ বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক ভাবে আমাদের ওয়ারিশ সম্পত্তি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে একটি প্রভাবশালী সন্ত্রাসী চক্র তাদের বিরুদ্ধে আমি বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেছি। যার কারণে তারা আমাকে প্রতিনিয়ত মামলা তোলে নিতে হুমকি ধমকি ও জীবন নাশের করবে বলে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে।

উল্লেখ, গত কিছু দিন আগে উক্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মমতাজ মিয়া, মোবারক, মোঃ ফয়সাল, শাকিল, কলিম উল্লাহ, কেফায়েত উল্লাহ গংরা দা, কিরিচ, লাঠি, ও লোহার রড নিয়ে সংঘবদ্ধ এক ভূমিধস্যু বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্রে আমাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়, এসময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়, পরে আমার স্ত্রীকেও গুরুতর জখম করে, এবং তার গলায় থাকা ১ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় বিবাদীরা এ বিষয়ে মামলা বা থানায় অভিযোগ করলে প্রাণে মারার হুমকিসহ বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। পরে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করি।

বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, যেকোনো মুহুর্তে উক্ত জমির লোভে তারা আমাকে হামলা বা হত্যার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই র‌্যাব ১৫ কক্সবাজার, টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ'সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা ও আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এদিকে গত ১১/১০/২৩ ইং তারিখে বিজ্ঞ জেলা জজ ২য় কক্সবাজার। অপর মামলা নং- ৩১৪/২০২০ ইং সালের মোকদ্দমা, ছৈয়দ হোছন পিতা -মৃত হাছন আলী, মোঃ হাশেম , ছকিনা খাতুন, আয়েশা খাতুন,নুর আয়েশা, রোকিয়া বেগম, হাসিনা বেগম, ফরিদা ইয়াছমিন, রেশম, ধলা বানু, সর্ব সাং নোয়াখালী পাড়া, বড় ডেইল, টেকনাফ কক্সবাজার। সবাইকে কারণ দর্শাইবার নোটিশ প্রদান করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে যে বাদীর প্রার্থনা মোতাবেক বিবাদি গণের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রচার করা হবে না তৎ মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন মহামান্য আদালত