নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।
ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের ভিডিওতে অতিথিকে কম দেখানোর অভিযোগে একজন এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ওই অতিথি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত সাংবাদিক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তোভোগী সাংবাদিক জিহাদুল ইসলাম এই ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি জিডি করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন জিডির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,'আমরা ইতিমধ্যে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছি। একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্ত করতে অ্যাসাইন করা হয়েছে। তিনি তদন্ত করে দেখবেন।’
জিডিতে ভুক্তভোগী মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জিহাদ অভিযোগ করেছেন, গত শনিবার দৈনিক দেশ রূপান্তর প্রত্রিকার ফেসবুক পেজে একটি সরাসরি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে রিপন গাজী নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ছিলেন। তিনি অনুষ্ঠান শেষে অপর একটি দৈনিকের মাল্টিমিডিয়ার সাংবাদিক আকরাম হোসেনকে দিয়ে ফোনে আমাকে বাংলা মোটরে ডাকেন। আমাকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশের একটি গলিতে নিয়ে যান। সেখানে আকরাম আমাকে শাসান। তারা আমার কাছে জানতে চায়, রিপন গাজীকে কেন কম দেখানো হলো? এক পর্যায়ে আমাকে রিপন গাজী গলা চেপে ধরেন। মারতে থাকেন। রিপন গাজী আমাকে বলেন, ‘তোকে গুলি করে মেরে ফেলবো। গত সোমবার রিপন গাজী আমার বাসায় লোক পাঠায় এবং মোবাইলফোনে হুমকি দেয়।'
তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেন রিপন গাজী। তিনি বলেন, আমি এমন কিছু করিনি। আমি মর্নিং টাইমস পত্রিকার সম্পাদক। জিহাদ আমার অফিসে এক মাসের বেশি সময় কাজ করেছে। তার সঙ্গে অন্য একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিলো। সেটা নিয়ে কথা বলছিলাম।
ভুক্তভোগীকে গুলি করে মেরে ফেলার অডিও রেকর্ড আমাদের হাতে আছে। আপনি অস্বীকার করছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রিপন গাজী বলেন, রেকর্ড বা প্রমাণ যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। আমার কিছু বলার নাই।
এই বিষয়ে অপর অভিযুক্ত আকরাম হোসেন বলেন,'জিহাদ আমার ডিপার্টমেন্টের ছোট ভাই। তার সঙ্গে আমার প্রতিদনিই দেখা হয়। এই হুমকির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।'
আপনি জিহাদকে ডেকেছিলেন কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না আমি ডাকিনি।'
সেদিনের ঘটনার সময়ের সাত মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ এসেছে আজকের পত্রিকার হাতে। জিহাদকে ডেকে এনে শাসানো ও সেদিন রিপন গাজীকে টকশোতে কেনো কম দেখানো হয়েছে এই বিষয়ে গালাগালির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সেদিনের ঘটনার সময়ের সাত মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ পাওয়া গেছে।জিহাদকে ডেকে এনে শাসানো ও সেদিন রিপন গাজীকে টকশোতে কেনো কম দেখানো হয়েছে এই বিষয়ে সঙ্গবদ্ধ গালাগালির প্রমাণ পাওয়া গেছে। রেকর্ডের পাঁচ মিনিটের পর থেকে জিহাদকে উদ্দেশ্য করে রিপন গাজীকে বলতে শোনা গেছে, শুয়ারের বাচ্চা তোর এত বড় সাহস। তোরে ডাইরেক্ট গুলি কইরা মাইরা ফেলবো। মাদাচ্চোদ, কুত্তাবাচ্চা, একদম ঝেড়ে দেবো। চেনোস তুই আমারে।...... ক্লিপটি যাচাই করে দেখা হয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত রিপন গাজী ও আকরাম ছিলেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com