মোঃ আরাফাত সানি, টেকনাফ।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অভিযান চালিয়ে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা বারোটায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ।
তিনি জানান, ১৯ অক্টোবর ভোরে টেকনাফ (২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৭ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ দক্ষিণ দিকে হ্যাচারখাল নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে পুকুর পাড়ে জঙ্গলের আড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। এসময় দুইজন ব্যক্তিকে একটি প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে সীমান্তের শূণ্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হ্যাচারখাল এলাকায় নাফ নদীর কিনারায় আসতে দেখে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা বস্তাটি ফেলে দিয়ে দ্রুত পার্শ¦বর্তী কেওড়া বাগানের ভিতর পালিয়ে যায়। অতঃপর টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ১টি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়।
বিজিবি’র অধিনায়ক আরও জানান, চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকার বিশাল প্রভাবশালী একটি মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। যাদের নেতৃত্বে নিয়মিত ওই এলাকার উওর নাইট্যং পাড়া শিয়াইল্ল্যা ঘোনা, বাংলালিংক টাওয়ার, বরফ কল প্রজেক্ট ও হ্যাচারখালে এলাকা দিয়ে বিভিন্ন মাদক ও ইয়াবার বড় বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা। তাই চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের আনা না হলে। উক্ত এলাকা মাদকের স্বর্গরাজ্য পরিণত হবে এবং যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। তাই উক্ত বিভিন্ন পয়েন্টে কঠোর নজরদারি বাড়ানো’সহ তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।
সূত্র -দৈনিক যায়যায়দিন।
Leave a Reply