জামাল উদ্দীন, টেকনাফ( কক্সবাজার)প্রতিনিধি
টেকনাফে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় এনজিও সংস্হা সুশীলনের অর্থায়নে রাস্তা, কবরস্হান,পুকুর সংস্কার কাজে ৩ টি ওয়ার্ডে চলছে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও পুকুর চুরি!
৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ টি ওয়ার্ড ৭,৮ ও ৯ নংওয়ার্ডের চলমান কর্মসৃজন প্রকল্প কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে ৭ নং ওয়ার্ড কর্মসৃজন প্রকল্প কাজে ৪৫ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৯ জন পুরষও ২৭ জন নারী শ্রমিক তালিকায় দেখা গেলেও আজকে কোন শ্রমিক কে কাজ করতে দেখাযায় নি।এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার জামাল হোছন ২৯ জন শ্রমিক পশ্চিম জুম্মাপাড়া কবরস্হান সংস্কার কাজ করছে বলে দাবী করলেও মূলত ঐজায়গায় কোন শ্রমিকের দেখা মিলেনি।বিষয়টি তাকে অবগত করা হলে সে তার পুত্র শাহ আজম শ্রমিকদের অন্যদিকে কাজে নিয়েছে বলে জানান।
৮ নং ওয়ার্ডে উত্তর লেদা লবণ মাঠ সংলগ্ন রাস্তা সংস্কার কাজে গিয়ে দেখা গেছে ১৬৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ১০১ জন পুরুষ,ও ৬৭ জন নারী শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ১৩০ জন নারী পুরুষ শ্রমিক কে কাজ করতে দেখা গেছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল হুদা বলেন আমি শত ভাগ শ্রমিক উপস্হিত করাতে চেষ্টা করছি।তবে মাঝে মধ্যে কোন শ্রমিক অনুপস্হিত থাকলে তাদের হাজিরা বাদ দিয়ে দিই।
৯ নংওয়ার্ড কর্মসৃজন প্রকল্প কাজ মুচনী কবরস্হান সংস্কার কাজে গিয়ে দেখা গেছে ৪৭ শ্রমিকের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ২৩জন নারী শ্রমিক কার্য তালিকায় দেখা গেলেও নারী পুরুষ মিলে মোট ৪০ জন শ্রমিক কে কাজ করতে দেখা গেছে।কাজে সংশ্লিষ্ট মাঝি মকতুল হোছাইন বলেন শ্রমিক তালিকায় ৪৭ জন থাকলেও নিয়মিত কাজে উপস্হিত হয় ৩২জন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদআলীর সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে তিনি শত ভাগ শ্রমিক উপস্হিত করাতে চেষ্টা করছে বলে জানান।
অপরদিকে ০১ নভেম্বর সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত হোয়াইক্যং ইউনিয়ননের ৫,৬,৭,৮ ও ৯ নংওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্কার প্রকল্প কাজে গিয়ে দেখা গেছে কোন প্রকল্পে তালিকা অনুযায়ী শ্রমিক উপস্হিতি পাওয়া যায়নি,শুধুমাত্র ৫ নং ওয়ার্ড শাহজালাল মেম্বারের প্রকল্প ছাড়া।ঐপ্রকল্পে ২৭২ জনশ্রমিক তালিকায় থাকলেওপারিশ্রমিক পেতে দেরী হওয়ায় প্রায় ৭০ জন মত শ্রমিক কাজ করতে আসেনা বলে ওয়ার্ড মেম্বার জানান।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মেম্বার সূত্রে জানাগেছে এমন অনেক মেম্বার রয়েছে যারা শ্রমিক যত বেশী কাজে না আসবে ততবেশী খুশি কারণ কাজে আসলে একজন শ্রমিক পারিশ্রমিক পাবে ৩ শত টাকা,না আসলে পাবে ১ শত টাকা। এইভাবে বাকী টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে পকেটস্হ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্মী,টেক অফিসার, ইন্জিনিয়ার সকলে মিলে এই টাকায় ভাগ বসাই। এবং উপজেলার উপর মহলেও ১০%টাকার ভাগ যায় বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।
এবিষয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন মাঠ সুপারভাইজার সূশীলন কর্মী মুহাম্মদ তারেক বলেন আগে এবিষয়ে আরো লিখালিখি হয়েছে বলে শুনেছি,কিন্তু আমি নতুন আসাতে এখনো সবদিকে যাওয়া সম্ভব হয়নি তবে আমি এসব বিষয় খতিয়ে দেখছি।
হোয়াইক্যংইউনিয়ন তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত এনজিও সংস্হা সুশীলনের মাঠ সুপারভাইজার আল আমিন বলেছেন এসব বিষয় আমিও শুনেছি যাচাই বাচাই করা হচ্ছে।তবে আমি ০১ নভেম্বর হোয়াইক্যং ইউনিয়ননের কয়েক টি প্রকল্প ঘুরে দেখেছি মোটামুটি কাজ ভাল চলছে।
এবিষয়ে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের টেক অফিসার আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করাহলে তিনি পি আই ও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।
পি আই ও হাবিবুরহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনও কে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।
সংবাদকর্মীরা কোন অভিযোগ পাইলে লিখবে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে কিন্ত তারাতো কাউকে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেনা।তাদেরতো কোন প্রতিপক্ষ থাকতে পারেনা।
দুর্নীতির শিকড় কতদুর গড়ালে এই রকম বক্তব্য দিতে পারে সচেতন মহলের অভিমত।###
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com