1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সর্বোচ্চ দামে নিলাম পেলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সিআইপি টেকনাফে ৭০ হাজার মানুষ বেকার- কর্মহীন : জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে টেকনাফের হ্নীলাতে নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন টাকা লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুর থানায় অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ইন্ডিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স টিমে যোগ দিলেন সাংবাদিক হাফেজ আহমদ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন টেকনাফে প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার পলায়ন হয়রানী মূলক মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ৫ শিশুর মা! হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা যুবদলের যুব সমাবেশ অনুষ্টিত টেকনাফে জমি বিরোধের জেরে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে প্রতি পক্ষকে স’ন্ত্রা’সী সাজানোর পাঁয়তারার প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা দক্ষিণ শাখা’র সদর ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন। বন্যার্ত ৫’শ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন টেকনাফ নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

সাঈদের বিরুদ্ধে রয়েছে যতসব অনিয়মের অভিযোগ 

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৯১ বার পড়া হয়েছে

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।

কক্সবাজার জেলায় মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মিত হওয়ার পর থেকে দিনদিন জমির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে  হিমছড়ি, ইনানী, বাহারছড়া ও টেকনাফ বিচ এলাকায় । 

পাশাপাশি এইসব এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতারক ও দালাল চক্র। এইসব এলাকায় একে অপরের বিরুদ্ধে জমিসংক্রান্ত মামলা-মোকাদ্দমা ঝামেলা লেগে আছে । এই সুযোগে অসাধু কিছু প্রতারক চক্র ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের জিম্মি করে বা তাদের নাম ব্যবহার করে করে হাতিয়ে নিচ্ছে নানান রকম কৌশলে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা। এই চক্রে একজন সক্রিয় সদস্য বাহারছড়া ভূমি অফিসে কম্পিউটারের কাজের লোক সাঈদ।

 

জানা যায়, টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের জনৈক বিএনপি নেতার ছেলে সাঈদ কম্পিউটারের কাজকর্মে পারদর্শী হওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কম্পিউটার টাইপের কাজকর্মে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে অফিসে এসে তহশিলদার কে সাহায্য করে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাঈদ গ্রামের সাধারণ জনগণ কে ভূমি অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অফিসের সমস্ত কাজকর্ম তার কথাতে হয় এমন কথাবার্তা বলে প্রতারণার কৌশলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মামলা মোকাদ্দমা সংক্রান্ত জমির নামজারি ও দাখিলা কেঁটে দেওয়ার কথা বলে ভূমি কর্মকর্তার অগোচরে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাঈদ সহ তার নেতৃত্বে গড়ে উঠা টেকনাফ বাহারছড়া ভূমি অফিস কেন্দ্রীক একটি প্রতারক চক্র।

 

সুত্রে জানা যায়, নামজারি ও বিভিন্ন মামলার তদন্তের রিপোর্টের প্রতিবেদন, নামজারি  প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোটি টাকা মালিক বনে গেছে সাঈদ। শুধু তাই না সাঈদ বাড়ি ভূমি অফিসের কাছে হওয়ায় এবং তার পিতা স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি’র নেতা হওয়ায় ভয়ে কেউ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কে অভিযোগ করতে যায় না। কেউ সাহস করে অভিযোগ দিতে গেলেও বাহারছড়া ভূমি অফিসের বাহিরে থাকা সাঈদের সিন্ডিকেটের লোকজন ভয় প্রদর্শন এবং মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। যার কারণে এইসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাহারছড়া ভূমি কর্মকর্তা সাঈদের সিন্ডিকেটের ব্যাপারে কিছুই  জানে না।

সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমান বাহারছড়া ভূমি কর্মকর্তা যোগদানের আগে থেকে সাঈদ ভূমি অফিসে কম্পিউটারের কাজে কর্মরত আছে।

বাহারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রহমান নামের একজন ভুক্তভোগী জানান, তাহার মামলাধীন বিরোধীয় একটি জমির নিয়ে সাঈদ প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকার বিনিময় দাখিলা প্রদান করে অসাধু ভূমিদ্যসু চক্রকে। এমনকি উক্ত বিষয়টি স্বয়ং ভূমি কর্মকর্তা জানে না। পরবর্তীতে বিষয়টি বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কে অবহিত করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান।তিনি আরো জানান, আজকে শুনেছি সাঈদ কে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে বের করে দিয়েছে।প্রতারক সাঈদ কে বের করে দেওয়ায় বাহারছড়ার এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবুল মনসুর জানান, সাঈদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।  আব্দুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে তাকে বাহারছড়া ভূমি অফিস থেকে বিতাড়িত করা হয়ে। তাছাড়া স্থানীয় সকলের কাছে আমার অনুরোধ সাঈদ নামের ছেলেটার সঙ্গে বাহারছড়া ভূমি অফিসের নামে কোন অবৈধ লেনদেনে জড়িত হবেন না। যদি সাঈদ ভূমি অফিসের পরিচয় দিয়ে কারো সাথে প্রতারণা করে সাথে সাথে অফিসে জানাবেন। আজকের পর থেকে তার সাথে বাহারছড়া ভূমি অফিসের কোন সম্পর্ক নাই।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল ২০২৩ ইং দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকায় ভূমি অফিসের উম্মেদারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জেলার সমস্ত ভূমি অফিস থেকে উম্মেদার সহ দালালদের বের করে দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও এখনো জেলার প্রতিটি উপজেলায় সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ে উম্মেদার ও দালালদের ভিড়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ নেই। যেখানে স্বয়ং কর্মকর্তারা এদের উপর নির্ভরশীল।

 

সুত্র- দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর