বিশেষ প্রতিবেদক, টেকনাফ।
চলমান মাদকবিরোধী আইন ও অভিযান কে উপেক্ষা করে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া মারিষবনিয়া এলাকার কসাই ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো: রাসেল (২৫) এলাকায় এক দূধর্ষ ইয়াবা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে টার্গেট করে টাকার লোভে ফেলে ইয়াবার চালান ঢাকা, চট্রগ্রাম,পাবনা, সাতক্ষীরা ও কুমিল্লা সহ দেশের নানা প্রান্তে পাচার করে আসছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে যে, বর্তমানে তার ইয়াবার চালান পাচার করতে গিয়ে এলাকার অনেক শিক্ষার্থী আটক হয়ে কারাগারে রয়েছে। এবং অনেকেই জামিনে বের ও হয়েছে। এখনো আলী আহমদের দুই ছেলের মধ্যে মোঃআলী জেলে, নুরকামাল কারাগার থেকে বের হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।আবার অনেকে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এসে অটো চালকের বেশ ধরে ইয়াবা পাচারে জড়িত রয়েছে।আবার অনেকে চরণধারের পাওনা টাকার জন্য ঝগড়া ঝাটি হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু গন্যমান্য ব্যক্তি বিচার সালিশও রফাদফার মাধ্যমে মিমাংসা করারও একাধিক নজির রয়েছে।
সম্প্রতি ইয়াবার চালান নিয়ে গিয়ে একই এলাকার কলেজ ছাত্র বশির আহমদের ছেলে আবছারউদ্দিন (২৩) ও শহীদুল্লাহর ছেলে কেফায়েত উল্লাহ(২২) চাঁদপুরের রামপুরে প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল।বর্তমানে তার সিন্ডিকেটে রয়েছে মোঃ হোছনের ছেলে মোঃ রফিক (২২) শহীদুল্লাহর ছেলে কেফায়েত উল্লাহ(২২) বশিআহমদের ছেলে আবছার উদ্দিন(২৩), আব্দুরহিম (২১)ও আলীআহমদের ছেলে মোঃআলী(২৫) ও নুরকামাল (২১) তাদের মধ্যে মোঃআলী বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
এছাড়াও রাসেলের পিতা কসাই ছিদ্দিক আহমদও তার বোনের জামাই আব্দুলকরিম তাদের এই অবৈধ মাদক ব্যবসায় যোগান দাতাওউৎসাহদাতা হিসেবে কাজ করছে বলেওজানাগেছে। নামপ্রকাশেঅনিশ্ছুক জন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, ও সমাজের বিভিন্নগণ্য মান্য ব্যক্তি বর্গের সাথে কথাবলে আরো জানাগেছে,যে পুলিশ প্রশাসনের সাথে নাকি তাদের সখ্যতা রয়েছে। যে সখ্যতার কারণে আজ তাদের মাদক ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য হয়েগেছে।গত একবছর আগে ও রাসেলদের কিছুই ছিলনা,গাড়ীছিলনা,বাড়ি ছিলনা।এই মাদক ব্যবসায়জড়িয়ে পড়ায় অতি অল্প সময়ে আঙ্গুলফুলে কলাগাছ।বর্তমানে তাদের রয়েছে বিলাশবহুল বাড়ি,গাড়ি,ও মেরিনড্রাইভ এলাকায় একাধিক প্লট সহ কাড়ি কাড়ি টাকা।এইভাবে রাসেলের মাদক বাণিজ্যের শিকার হয়ে টাকার লোভে পড়ে এলাকার অহ রহ নিরীহ শিক্ষার্থীওযুব সমাজ এই পথে পা বাড়াতে সাহস পাচ্ছেবলে এলাকার নিরীহ অভিভাকও সচেতন মহল মনে করছেন।এলাকাবাসী এই সবের প্রতিকারের জন্য র্্যাব,পুলিশ ও মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রন অদিদপ্তর সহ প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে মোঃ আলীর মা শামসুননাহার এই প্রতিবেদক কে বলেন আমার ছেলে একজন অটো চালকওদিন মজুর, সে কোনদিন কোনদি ইয়াবা ব্যাবসা করেনাই। যাদের ইয়াবানিয়ে সে আটক হয়েছে তাদের নাম আমি বলতে পাবনা বললে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে। তারা এলাকার প্রভাব শালী মাদক সিন্ডিকেট।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সিন্ডিকেট প্রধান রাসেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জোবাইয়ের সৈয়দ বলেন, সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে ছাত্রত্বের আড়ালে অনেকে মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত হচ্ছে এবং অনেকে আটক ও হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পুলিশ অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করবে। এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। সে এতবড় শক্তিশালি হোক না কেন।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর টেকনাফ (ডিএনসি) টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফা মুকুল জানান, মাদকের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। হোক সে কলেজ ছাত্র তার তার বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। আরো সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন আমরা অভিযান পরিচালনা করা হবে। ###
আরও বিস্তারিত খবর নিয়ে আসছে ২য় পর্বে...
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com