রামু (কক্সবাজার)প্রতিনিধি
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাঁকখালী রেঞ্জের আওতাধীন কচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তার হারুন রশিদ বেপারি চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারণ। ফলে যে কোন মুহুর্তে সংঘাত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের সাথে। তার এহেন আচরণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেও সুফল পায়নি স্থানীয় জনগণ। যার কারণে প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য ও সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,উক্ত অসাধু বিট কর্মকর্তা হারুন রশিদ বেপারি যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজিতে নেমে পড়ে। স্থানীয় বনদস্যুদের সাথে যোগসাজশ এবং সম্পর্কতা গড়ে তুলে প্রতিনিয়ত বনাঞ্চল উজাড় করে আসলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে। বনের ভিতরে ইটের দালান বাড়ি নিমার্ণ, গাছ,লাকড়ী,বাঁশ বাহী পরিবহন আটকিয়ে নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করতে গিয়ে জনতার হাতে লাঞ্ছিত হন এ অসাধু বন কর্মকর্তা।
সরকারি দায়িত্ব যথাযত পালন না করে স্থানীয় ভিলেজার ও দালাল চক্রের সাথে আড্ডা দেয় বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ব্যক্তি।তারা আরো জানান, বনাঞ্চল রক্ষা করার বদলে ধ্বংসে নেমে লুটপাট করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।বলতে গেলে বনসম্পদ রক্ষায় কোনধরনের আগ্রহ নেই এই বনাঞ্চলের বিট অফিসার ও ফরেষ্টগার্ড কর্তাদের। এদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা না নিলে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়া,ঘোনা পাড়া, নতুন তিতার,পূর্ব হাজির পাড়া, বালুভাসা, দঃমৌলভীকাটা,কেচুবনিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অবশিষ্ট বন বিভাগের সম্পদ নিমিষেই উজাড় হয়ে যাবে।
বাঁকখালী রেঞ্জের আওতাধীন কচ্ছপিয়া বিটে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, বনাঞ্চল কেটে উজারকরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে করা হচ্ছে নতুন ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। কাটা হচ্ছে মাদার থ্রি ফোর গর্জন আকাশমনি গামারি সহ বিভিন্ন জাতের গাছ। এছাড়া চোরাই কাঠ রাতের অন্ধকারে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন করাতকলে সাপ্লাই দিয়ে ফার্নচার তৈরী করতেও সহযোগিতা করেন তিনি। সবকিছুতেই জড়িত এই অসাধু কচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা হারুন রশিদ বেপারি দিনের পর দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে জানান এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান,স্থানীয় এক প্রভাবশালী সেন্টিকেটের মাধ্যমে নতুন ঘর বাড়ি ও বনভূমি দখলদারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু বিট কর্মকর্তা হারুন রশিদ বেপারি । আবার টাকা না দিলে ভেঙে ফেলা হচ্ছে অসংখ্য ঘরবাড়ি।
এ ব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত কচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা হারুন রশিদ বেপারি কার্যালয়ে গেলে তিনি বলেন প্রথম তার বেটরুমে নিয়ে গিয়ে তার বসখাটে শুয়ে শুয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে যে নিউজ গুলো করা হয়েছে সব মিথ্যা বানোয়াট। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দিতে পারবো না। পরে এক পর্যায়ে নিউজ না করার জন্য জোর করে সংবাদ কর্মী পকেটে টাকা ডুকিয়ে দেওয়া চেষ্টা করে। তিনি আরো বলেন আপনারা অনেক দূর থেকে আসছেন সেজন্য তেল খরচ দিচ্ছি বলে। আমি আসছি সাত মাস হয়েছে বারো টা মামলা দিয়েছি তার মধ্য নয়টি অবৈধ ভাবে বন বিভাগে জায়গাতে বাড়ি নিমার্ণ করতেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিলে মামলা দিতে পারে নাকি। আমি আপনাদের কেনো বলবো বলে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এই বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কারা বাড়ি নিমার্ণ করতেছে তাদের নাম ঠিকানা গুলো আমাকে দেন। তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে ফোন কেটে দেন। স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com