টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল অভিভাবক, সিএনজি ও মিনি কার চালক ভাইয়েরা আপনাদের উদ্যেশ্যে আমার এই লেখা। 

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ যেভাবে আপনাদের ঘাম ঝাড়ানো টাকা খেয়ে ফেলতেছে তা আপনারা চিন্তা করে দেখেন এবং কাকে আপনার মূল্যবান ভোট দিবেন সিদ্ধান্ত নেন।

টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতে সারাজীবন সভাপতি থাকতে পারে সেজন্য বিদ্যালয় সরকারি করণ করতে দেওয়া হয়নাই, এবং প্রধান শিক্ষকের আসনে অযোগ্য ব্যক্তি দিয়ে নিজের ক্ষমতা বজায় রেখেছে। নিজের পকেট চাঙা করার জন্য বিদ্যালয়ের সামনে মাছের ব্যবসা বসিয়ে দিয়েছে যা পরিবেশ দূষিত করছে এবং বিদ্যালয়ের সামনে জামজট এবং বকাটেদের কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। নারী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এবং যৌন হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। তাছাড়াও বিদ্যালয়ে সরকার নির্ধারিত ফি'র চেয়ে ২-৩গুন বেশি টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম থেকে শুরু করে সকলধরনের ফি আদায় করে। যার প্রতি ৪৫হাজার টাকায় মাত্র ৫হাজার টাকা স্কুলে জমা করে বাকি ৪০হাজার টাকা নিজের সুবিধা গ্রহণ করছে। বিদ্যালয়ের সামনে মাছের দোকানসহ হরেকরকমের বিদ্যালয়ের নামে ব্যবসা করলেও একটা টাকাও বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের একসময় সুনাম থাকলে ও দিন দিন তা শেষ করে দিছে আমাদের এই প্রতিপক্ষ।

 মিনিকার থেকে প্রতি গাড়ি হিসেবে দৈনিক ১৫০টাকা হারে চাঁদা নেয়, বর্তমানে ১০০ গাড়ির উপর থাকলে ও ১০০ গাড়ি হিসেব করলেও দৈনিক ১৫০x১০০=১৫,০০০ টাকা , এইটাকা কিসে ব্যায় করা হয় তা গাড়ি মালিকগণেরও অজানা।

 সিএনজি চালক ভাইয়েরাও এর শিকার থেকে বাদ যাইনি। তাদের কাছ থেকেও ক্ষমতার দাপটে টাকা আদায় করে। দৈনিক ৩০টাকা করে টেকনাফের প্রতি গাড়ি থেকে চাঁদা নিচ্ছে এবং কক্সবাজার থেকে আগত গাড়ির থেকেও ৩০০টাকা হারে চাঁদা নিচ্ছে তাহলে দৈনিক সকল গাড়ি থেকে কত টাকা মেরে খাচ্ছে আপনারা হিসেব করে দেখবেন, এই টাকা কোথায় খরচ হয় তা সবার জানা থাকলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারে না।

এইরকম অনিয়ম আরো অনেক আছে, যা লিখে শেষ করা যাবেনা। এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নেন এই রকম প্রার্থীকে ভোট দিলে আপনাদের উপকার হবে? নাকি অপকার হবে আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন।

যে ব্যক্তি ক্ষমতা পেয়ে গরিবের টাকা এইভাবে মেরে খাচ্ছে সে কেমন করে উখিয়া টেকনাফের উন্নয়ন করবে আপনারা ভেবে দেখুন।

লেখক, 

আব্দুস শুক্কুর সিআইপি 

সাংগঠনিক সম্পাদক, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগ।