নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
টেকনাফের বাহার ছড়া শামলাপুর ১নং ওয়ার্ডের ঢালার মুখ এলাকায় দীর্ঘ দিনের চলাচলের রাস্তা কাটা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তাটি বন্ধের ফলে পারিবার টি ২সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ বলে জানাগেছে। তবে ওই পরিবারের সদস্যরা কোন উপায় না পেয়ে আপাতত পাশের একটি বাড়ির উঠান দিয়ে চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে বাহার ছড়া শামলাপুর পুলিশ ফাড়িঁর তদন্ত কেন্দ্রে রাস্তা বন্ধ করারিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি ভাই বা প্রতিবেশির সাথে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে তাই বলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া যাবে না এটি সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এরকম অন্যায় কাজ যারা করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাহার ছড়া শামলাপুর ঢালার মুখে উক্ত ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , শহর আলীর আপন ওয়ারিশগণের মধ্যে অলি আহমদ ও ইসহাক আহমদ দুই পুত্র একটি জমি কে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধ থেকে শহর আলীর পরিবার কে নিচ্ছিন্ন করতে আপন ভাই, ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে দফায় দফায় মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
অলি আহমদের স্ত্রীর দাবি আমার পরিবারের স্বামী থেকে ছেলে পর্যন্ত আমি সহ সাতজনকে দফায় দফায় কয়েকটি মামলার আসামি করেছে ইসহাক। এখন আমাদের কোন উপায় নেই এভাবে নির্যাতন করলে আমরা কোথায় যাব। দেশে কি কোন বিচার নেই। আমি আদালতের প্রতি আমাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা গুলো হয়েছে তার থেকে সুবিচার বা পরিত্রান আশা করছি।
ইসহাক কে না পেয়ে তাহার স্ত্রীর মাহমুদা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার শাশুর আমার স্বামী ইসহাকের নামে জমিটি দান করেছে। ওই জমি স্বামীর এক বোন তার ভাই কে না জানিয়ে অপর এক জন কে বিক্রি করে দেন। পরে আমার স্বামী ইসহাক বিক্রিত জমিটির টাকা ক্রেতাকে ফেরত দিতে চাই আমার প্রতিপক্ষরা আমাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার আব্দুল হক জানান , অলি আহমদের ভাই ইসহাকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে বিচার দিয়েছিল। কিন্তুু ইসহাক আমাদের বিচার মানবে না বলে জবাব দেন।
বাহার ছড়া পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, পুলিশ গিয়ে তদন্ত করে আসছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়া ধীন।
একটি পরিবারকে দাফায় দফায় মামলা দিয়ে হয়রানি করা কতটুকু যুক্তি তা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
Leave a Reply