অনলাইন ডেস্ক:
বাড়ি ফেরার আনন্দে আত্মহারা সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিক। এরইমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করে বাংলাদেশের পথে জাহাজটি।
আগামী ১২ মে ভোর নাগাদ বাংলাদেশের জলসীমায় দেখা মিলতে পারে এমভি আবদুল্লাহ’র। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে অধীর আগ্রহে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় এখন নাবিকরা। গানে-গল্পে জাহাজের ভেতর সময় কাটছে তাদের।
বন্দুকের নলের মুখে বাঁচা মরার প্রতিটি ক্ষণ গুনতে গুনতে ৩১টি দিন পার করেছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ জন নাবিক। এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গত ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরে আসে জাহাজটি।
গত ১০ দিন ধরে মুক্ত বিহঙ্গের মতো দিন কাটিয়েছেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা নাবিকরা। এখন বাড়ি ফেরার আনন্দে মতোয়ারা তারা।
বর্তমানে জ্বালানি তেল সংগ্রহের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজিরা সমুদ্রসীমা ধীরে ধীরে দিগন্তে মিলাচ্ছে। আগামী ১২ মে ভোর নাগাদ বাংলাদেশের জলসীমায় দেখা মিলতে পারে এমভি আবদুল্লাহ’র। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের কুতুবদিয়া চ্যানেলের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছানোর পর পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন ২৩ নাবিক।
গত ১২ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুদের সঙ্গে বহু দেন দরবারের পর মুক্তিপণের মাধ্যমে ২৩ নাবিককে গত ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে অক্ষত অবস্থায় মুক্ত করা হয়।
এরপর ১৪ এপ্রিল সকালে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সাত দিন পর গেল ২১ এপ্রিল দুপুরে শারজাহ সমুদ্র বন্দরের পৌঁছায় জাহাজটি। ###
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com