অনলাইন ডেস্ক:
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তির প্রায় এক মাস পর ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। সোমবার (১৩ মে) কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করতে পারে জাহাজটি।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ১৩ মে বিকেল নাগাদ এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাকি পণ্য খালাস করবে।
এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবে, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।
জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার টন পাথর রয়েছে।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এরপর দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এটি।
মুক্তির পর জাহাজটি গত ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে চুনাপাথরের আমদানির জন্য মিনা সাকার বন্দরে যায়। গত ৩০ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
১৩ মের হিসাবে জিম্মিদশার ঠিক দুই মাস পর দেশে ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক, যাদের সবাই বাংলাদেশি। জিম্মিদশার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরা নাবিকদের অপেক্ষায় পরিবার ও স্বজনেরা।
কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে। ###
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com