মোঃ আরাফাত সানি,ফারুকুর রহমান,টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার মাথা ভাঙ্গা, নোয়াখালী পাড়া ও শীল খালি সহ এলাকার একাধিক পয়েন্ট থেকে প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় পাচার হচ্ছে পরিবেশ এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা ঝিনুক-শামুক আহরণ করা হচ্ছে। যার ফলে সমুদ্রের ভাঙ্গন, জীব বৈচিত্র নিধন সহ পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে দিকে সমুদ্র সৈকত গিয়ে দেখা যায় সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক আহরণ করছেন ৭/ ৮ জনের একটি সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে তারা তা বস্তা বন্দি করে রাখছেন সমুদ্র পাড়ে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সময় তাদের ঝিনুক উত্তোলন করতে দেখা যায়, এবং একটি সিন্ডিকেট তা পরিচালনা করেন। তারা সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক গুলো পাচার করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে, তারা আরো বলেন, এই ঝিনুক গুলো সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে, এবং ঝিনুক গুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতি অনুরোধ রাখব, তারা যেন এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন ।
এ বিষয়ে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক আহরনকারী জাফর আলম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি যায়যায়দিনকে জানান, আমাদেরকে প্রশাসন বাঁধা দেয়, আমরা আমাদের জীবিকার তাগিদে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে, ঝিনুক গুলো উত্তোলন করে বিক্রি করি। প্রতি বস্তার পেছনে ৫০/৬০ টাকা করে পায় তা দিয়ে আমাদের পরিবার চলে।
একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলী জানান, এগুলো অহরহ বেচাকেনা হয়, এই ঝিনুক গুলো মূলত মাছের খাদ্য, মুরগির খাদ্যে, এবং পানির ফিল্টারিং কাজে ও ব্যবহার করা যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এগুলো করি আমরা।
তিনি আরো বলেন, আমরা অভাবী লোক তারা জীবিকার তাগিদে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক উত্তোলন করে, বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে এসব বিক্রি করে আমাদের সংসার চলান।
টেকনাফ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা না থাকায়, কক্সবাজার জেলার পরিবেশ অধিদপ্তর (পরিচালক) মুহাম্মদ সোলায়মান হায়দার'' এর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, মোবাইল রিসিভ না করায়, বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাহারছড়া তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ ছমি উদ্দিন বলেন- আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব। ইতিমধ্যে আমাদের টহল টিম ওই এলাকায় রয়েছে, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা এদের কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নি না।
টেকনাফে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী "যায়যায়দিনকে থেকে বলেন- ইতিপূর্বে ও বাহার ছড়া ইউপির সমুদ্র সৈকত থেকে অবৈধভাবে ঝিনুক ও শামুক উত্তোলন করার অপরাধে একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তারা আবারো নতুন করে অবৈধভাবে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক ও শামুক করছে করছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে এবং তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে সহযোগিতা করুন।###
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com