নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ ।
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা স্টেশনে স্থানীয় জনতাকে অপহরণ বন্ধ, ক্যাম্পের বাহিরে রোহিঙ্গাদের চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞার অরোপের প্রতিবাদে ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ি, শ্রমিক, সাধারণ জনতার পক্ষ হতে মানব বন্ধন ও গণ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে হ্নীলা বাজারের প্রায় ২০০০ দোকান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ রাখানে ব্যবসায়িরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে হ্নীলা স্টেশনে উক্ত মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানব বন্ধনে রংগীখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, হ্নীলা মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, শাহ মজিদিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়, আলফালাহ একাডেমি, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেদা উচ্চ বিদ্যালয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি, হ্নীলা বাজার ব্যবসায়ি সমিতি, সহ সর্ব স্থরের ব্যবসায়ি বৃন্দ ছাত্র / জনাতা নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন ।
শিক্ষক মোঃ সায়েম সিকদারের পরিচালনায় হ্নীলা বাজার কমিটির সদস্য মুফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হ্নীলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহির আহমদ।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, হ্নীলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর আল – মাসুদ।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, হ্নীলা ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি বাহাদুর শাহ তপু, আল-ফালাহ একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ রফিক, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, মসজিদিয়া মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নুরুল আমিন , মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ফেরদৌস, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আলী আহাম্মদ, ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শাকের আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি জালাল উদ্দীন, নুরুল হোছাই আজাদ, আব্বাস আলী , ডাক্তার মোঃ সোহেল, আবছার কামাল নোবেল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাইফুল ইসলাম।
মানব বন্ধনের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি হাফেজ শাকের।
এ সময় বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে মানবতার শার্তে আশ্রয় দিয়ে আমরা ভুল করেছি। এখন তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। এরকম জানলে তাদেরকে আমরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিতাম না। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীদের সহযোগিতায় কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গারা হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতে হচ্ছে। ক্যাম্পের বাইরে এসে বিভিন্ন শ্রমবাজার তারা দখল করে নিয়েছে। কাঁটাতারের ভিতরে থাকা স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অনেকেই হুমকির মুখে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। যে সকল এনজিও সস্তায় স্থানীয় ছেলেরা কাজ করত তাদের চাকরি থেকে ছাটায় করে রোহিঙ্গারা নিম্ন বেতনে কাজ করছে। ভবিষ্যতে সবকিছু বন্ধ না হলে আমাদের আন্দোলন আরো বেগবান হবে।
Leave a Reply