মোহাম্মদ তোফাইল, টেকনাফ ৭১

মৃত্যু হল মানুষের জীবনের এমন এক কঠিন বাস্তব যা অবধারিত কিন্তু মেনে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য ।প্রিয়জনের বিয়োগজনিত ব্যথার থেকে বড় শোক বোধহয় আর কিছুই নেই।

টেকনাফের সনামধন্য বিদ্যাপীঠ সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সম্মানিত দাতা সদস্য, সাবেক মেম্বার মরহুম সব্বির আহমদ এর স্মরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সম্মানিত সদস্য  সুলতান আহমদ বি এ, সভাপতিত্ব করেন সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুফিজ উদ্ল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সকল ১০ টার দিকে এই শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য, সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সকল শিক্ষার্থী অবিভাবক এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।

এই সময় সৃতিচারণ সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য  সুলতান আহমদ বি এ বলেন, মরহুম সব্বির আহমদের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি শিক্ষিত ছিলেন না। তার পরে-ও এই প্রতিষ্ঠানে শুরু থেকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করছে, একজন শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি, সাবরাং ৪ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য থাকাকালীন সুন্দর ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। একজন সৎ মানুষ ওনার মতো মানুষ সাবরাংয়ে আমরা আর পাব না। এই স্কুলে তিনি আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করতেন। মরহুম ছব্বির আহমদের অবদানের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ এতদূর এগিয়ে গিয়েছে। কক্সবাজার জেলার মধ্যে ভালো অবস্থানে আছে। একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।

প্রয়াত ছব্বির আহমদের ছোট ভাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ আয়াছ বলেন, আমার চাচা একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। মানুষের জন্য সেবা করেছে।সেবা করার সময় যদি,কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকে ক্ষমা করে দিবেন।আমার চাচার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।

সাবরাং ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, আমার মামা একজন সহজ সরল মানুষ ছিলেন, সবসময় প্রতিবাদ করতেন। আমার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। এইভাবে হঠাৎ করে আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়ে যাবে আমি কল্পনাও করি নাই। আমিও গভীর ভাবে শোকাহত দোয়া করি চাচা পরকালে ভালো থাকে।

মরহুম সব্বির আহমদ এর বড় ছেলে মোহাম্মদ আনিছ বলেন, আমার আব্বুর জন্য সবাই একটু দোয়া করবেন। সবাই ক্ষমা করে দিবেন। তিনি আরো বলেন,আব্বু যে,ভাবে স্কুলের পাশে ছিলেন। আমরা ও আব্বুর উত্তরসূরী স্কুলের যেকোনো কাজে পাশে থাকব।
আজ আব্বুর এতবড় একটা শোকসভা যারা আয়োজন করছে যারা উপস্থিত হয়েছেন সবাই কে অন্তরের অন্তস্তল থেকে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

এই সময় বড় মেয়ের জামাই মোহাম্মদ জামাল  আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমাকে ছেলের মতো আদর করতেন। কোনোদিন মন কারাপ হওয়ার মতো কথা বলে নাই। একজন অবিভাবকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। সবসময় আপদে বিপদে পাশে থাকতেন। এই ভাবে আমাদের কে রেখে বিদায় নিবে। কোনোদিন কল্পনা নাই। আমার শাশুড় জন্য সবাই একটু দোয়া করবেন। আল্লাহ যাতে শাশুরকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করে।

পরিশেষে বক্তব্য রাখেন সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্ল্লাহ তিনি বলেন মরহুম ছব্বির আহমদ অন্তত ভালো ছিলেন,ওনার অবদানের এই স্কুল টা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,সাবরাং অনেক জমিদার মানুষ ছিল,স্কুলের জন্য ওনার মতো কেউ এগিয়ে সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেয় নাই।এই স্কুল ওনার জমিনের উপর দাঁড়িয়ে আছে। ওনার জন্য হাজারো দোয়া থাকবে,আমি ও শোকাহত।

সর্বশেষ সাবরাং সিকদার পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ছব্বির মরহুমের আত্মার মোনাজাত করে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল সমাপ্ত ঘোষণা করে।##