ফারুকুর রাহমান টেকনাফ ।
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সমুদ্রের উপকূলীয় অঞ্চলে দিন দিন উজাড় হচ্ছে উপকূল ও পরিবেশ রক্ষাকারী ঝাউবন। এমনকি কিছু অসাধু বন কর্মকর্তাদের বেখায়ালীর ফলে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সূত্রে জানায় মেরিন ড্রাইভ ও সাগরের গ্রাস থেকে রক্ষা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় মূলত সেনাবাহিনী এসব ঝাউগাছ রোপণ করছে সৈকতের পাড়ে। তবে কিছু অর্থ লোভী বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী চক্র এসব গাছ কাটছে। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে গাছ কাটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। প্রতি মাসে উপকূলের এসব অঞ্চল গুলো থেকে অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। এতে দিন দিন বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে উপকূল ও পরিবেশ।
এদিকে সরেজমিনে গেলে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত উপকূলীয় অঞ্চল, সাবরাং জিরো পয়েন্ট হতে শাপলাপুর- বাহার ছড়া দীর্ঘ পথের বিভিন্ন জায়গায় সারিবদ্ধ গাছের মাঝে মাঝে ফাঁকা। পড়ে রয়েছে কাটা গাছের অসংখ্য গোড়ালি। কিছু কিছু গোড়ালি বালুর সাথে মিশে গিয়েছে এবং অনেক গাছে রয়েছে করাত ও দা দিয়ে কাটার চিহ্ন।
এসব গাছ কাটার চিহ্ন দেখে স্থানীয়দের কাজ থেকে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, এই ঝাউবাগান ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রতিরক্ষা দেয়াল হিসেবে উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষা করে। আমরা ঝাউবাগানের আশেপাশে চাষাবাদ করি বিদায় মূলত প্রায় সময় দেখতে পায়, গাছ কেটে ফেলার দৃশ্য, যদিও আমাদের চোখে পড়লে তাদের নিষেধ করি বাধা দেয়। তবে অন্য কোনো সময়ে এসে কেউ না, কেউ ঠিকই গাছ কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয় যারা রয়েছি বন বিভাগকে অবগত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশ্বাস দেন। যতটুকু মনে করি টাকার কারণে, এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে কোন না কোন ভাবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জড়িত থাকবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপকূলীয় বন রেঞ্জের কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমিও শুনেছি কিছু অসাধু চক্র উপকূলীয় অঞ্চলের ঝাউবন নিধন করছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ওই অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আমাদের কোনো কর্মকর্তা যদিওবা জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পানি ওভার-ফ্লু হচ্ছে। সৈকতে পর্যটকদের অবাধ বিচরণ এবং কিছু অসাধু লোকজন সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে লতা পাতা কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে সৈকতের বালিয়াড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই বাগানের আগেও উপকূলীয় বনবিভাগ ৩ হাজার ঝাউবাগানের চারা রোপণ করে বাগান সৃষ্টি করেছিল। কাঠচোরদের দৌরাত্ম্যের কারণে এখন মাত্র কয়েকটি গাছের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব গাছ কাটার ফলে এলাকার পরিবেশের বিপর্যয়ের পাশাপাশি সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে বালু ক্ষয় হচ্ছে। যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস কিংবা ঘূর্ণিঝড়, বন্যা হলে প্রধান সড়কসহ স্থানীয় বাসিন্দারা নানামুখী ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com