• মোঃ আরাফাত সানি, টেকনাফ।
অপহরণ রোধে পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান ও অস্থায়ী সেনা ঘাঁটির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে টেকনাফের সর্বস্তরের জনসাধারণ। না হয় উখিয়া টেকনাফ মহাসড়ক বন্ধের হুশিয়ারি দিয়ে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে তাঁরা।
টেকনাফে অপহরণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দশ লক্ষাধিক মানুষ।এমন অবস্থায় টেকনাফের পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান এবং অস্থায়ী সেনাঘাঁটির দাবিতে মানববন্ধন করেন সর্বস্তরের মানুষ। দাবি পূরণে জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ ঝর্ণা চত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সংহতি জানিয়ে মানবন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনীতিবিদসহ আরও অনেকে।
মানবন্ধনে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, এবং টেকনাফ সীমান্তের মানুষ হিসেবে অধিকার হারা। আমরা কোন অপরাধ করি নাই। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশী আমরা রোহিঙ্গা হয়ে গেছি । তারা আমাদেরকে অপরণ করে ব্যবসা করতেছে। এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। আমাদের দাবি, সবাই মিলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করুন। আমাদের একটা দাবি পাহাড়ে সেনা মোতায়েন করে এবং সেনাঘাঁটি চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন , আপনারা দেশের নাগরিকদের জন্য আইন বাস্তবায়ন করে দেখান।বিগত সরকারের সময় এই চক্রের সঙ্গে কিছু প্রভাবশালীর সখ্যতার অভিযোগ ছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসেও তা বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বেড়েছে বহুগুণ। তাই টেকনাফের মানুষ মনে করে, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা না হলে এই ভয়াবহ অপরাধ রোধ করা সম্ভব নয়।
ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ মুর্শেদ বলেন, আজ থেকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে যদি কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেয় টেকনাফের সব সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। টেকনাফের বাসিন্দারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় এবং আতঙ্কে রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন তথ্য বলছে, দুর্গম পাহাড় ঘিরে কয়েকটি স্বশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে। যাদের সংখ্যা ৩-৪ শ মতো। তারা পাহাড়ে পাহাড়ে তৈরি করেছে বিশেষ আস্তানা। কিছু স্থানীয় বাসিন্দার আশ্রয় প্রশ্রয়ে চলছে এমন অপরাধ। তাই আমাদের জোর দাবি, যৌন বাহিনীর অভিযান এবং পাহাড়ে রাঙামাটির মতো সেনা ঘাঁটি দরকার।
জাতীয় নাগরিক কমিটি টেকনাফ উপজেলা সদস্য সামিরা আকতার বলেন- আমাদের চেয়ে প্রশাসন অনেক কৌশলী কারণ তাদের হাতে আমাদের চেয়ে ভালো তথ্য থাকে। কেন এত কিছু জানার পরও তারা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতেছে না। তাদের গাফিলতি থেকে বুঝা অপহরণ কারীদের সঙ্গে তাদের আঁতাত রয়েছে। অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত না করে আমাদের নিরাপত্তা দিন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com