• কক্সবাজার অফিস ।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ।
১৪ মার্চ দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় "কক্সবাজারে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরোর পিইডিপি প্রকল্প—ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ১২ কোটি টাকা গিলে খেলো এনজিও স্কাস-সংযোগ বাংলাদেশ" শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক তথ্যনির্ভর। সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস)-এর নাম, সংস্থার চেয়ারম্যানের ছবি ও লোগো ব্যবহার করে সম্মানহানির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পিইডিপি প্রকল্পের রামু উপজেলায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা সংযোগ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করা হলেও স্কাসের নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছরের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে স্কাসকে জড়ানো হয়েছে, যা জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর 'সেকেন্ড চান্স' প্রকল্পের আওতায় স্কাস ১৭০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছে। এই প্রকল্পটি সফলভাবে ডিসেম্বর ২০২৪-এ সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার সুযোগ অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলছে, সেখানে প্রকল্প সমাপ্তির দুই মাস পর স্কাসের নাম জড়িয়ে কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ শুধু নিন্দনীয় নয়, বরং ঝরে পড়া শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত করার অপচেষ্টা।
এছাড়াও, সংবাদে স্কাসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও, রামু উপজেলায় অন্য একটি সংস্থার প্রকল্প-সম্পর্কিত অভিযোগে স্কাসকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটি 'অন্ধের হাতি দর্শন'-এর মতো একপেশে ও বিভ্রান্তিকর।
রোহিঙ্গা ইস্যুসহ জীবিকার প্রয়োজনে ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা যখন শিশুশ্রমে নিয়োজিত হচ্ছে, তখন সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসেবে স্কাস তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করেছে। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্কাস ঝরে পড়া শিশুদের স্কুলমুখী করতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
এই প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। তারপরও স্কাসের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
আমরা আরও উল্লেখ করতে চাই, স্কাস যথাযথ নিয়ম মেনে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করে প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সংস্থার অর্জন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে যখন কক্সবাজারের ঝরে পড়া শিশুরা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, তখন স্কাসের নাম ও ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো অত্যন্ত দুঃখজনক।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং গুজব ছড়ানো নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সত্যতা যাচাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়।
পরিশেষে, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। আমাদের মনে রাখতে হবে, পর্যটন এলাকা-কেন্দ্রিক ঝরে পড়া শিশুদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতে শিক্ষার আলোয় ফেরানো আমাদের সবার দায়িত্ব।
সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনার জন্য নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংস্থার সুনাম ক্ষুণ্নের লক্ষ্যে স্কাসের নাম ব্যবহার করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমাদের অনুরোধ, এই বিভ্রান্তিকর সংবাদে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন। আমরা আশা করবো, সাংবাদিক ভাইয়েরা আরও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকবেন।
প্রতিবাদকারী-
জায়েদ নূর
জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার,কক্সবাজার।
সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস)।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com