নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পের স্কুল থেকে রোহিঙ্গা শিক্ষকদের চাকরিতে রেখে স্থানীয় এক হাজার ২৫০ শিক্ষককে একযোগে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে চলছ বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি। স্থানীয়দের চাকরি নিয়ে এনজিও গুলোর এমন অন্যায় আচরণে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেছে স্থানীয় জনতা। স্থানীয়দের তোপের মুখে এনজিও কার্যক্রম বেসামাল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের প্রতি এনজিও গুলোর চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য নিয়ে যখন জেলাজুড়ে প্রতিবাদ মুখর ঠিক ঐ সময়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে ফেরাতে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে টেকনাফের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নিয়ে তিনদিনের ট্রেনিং আয়োজন করেছে জিআইজেড ও জার্মান কো অপারেশন নামে একটি এনজিও। এ নিয়ে উপজেলায় তোলপাড় চলছে।
এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে স্থানীয় এনসিপি নেতা সায়েম সিকদার বলেন, 'এনজিওদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে যেখানে উখিয়া-টেকনাফের সর্বসাধারণ আন্দোলনে নেমেছেন, সে অবস্থায় টেকনাফের গুটিকয়েক সাংবাদিক
এনজিওদের সাথo তিনদিনব্যাপী কর্মশালায় মশগুল। সেখানে, কী আলোচনা হয়েছে?স্থানীয়দের বিরুদ্ধে কিংবা পক্ষে
আমরা এর জবাব চাইব'
বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, কিছু তথাকথিত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বক্তিরা মিলে এনজিওদের সাথে মিলে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরি স্থগিত করেছে তাদেরকে একেবারে বাতিল করার পরিকল্পনা করছে।
কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলে তিনি আরো বলেন, স্থানীয়দের প্রাধান্য না দিলে এনজিও গাড়ির চাকা চলতে দেয়া হবে না। অনতিবিলম্বে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো এনজিও কার্যক্রম বন্ধ ও অফিস ঘেরাও কার হবে।
টেকনাফ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর্মশালার নামে গুটিকয়েক সাংবাদিকদের নিয়ে একটি এনজিও সম্প্রতি চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও স্থানীয়দেরকে চাকরি বঞ্চিত করতে পরিকল্পনা করছেন। এবং বিষয়টি তাঁরা প্রেসক্লাবের কাউকে অবগত করেনি।
এ বিষয়ে জানগে জিআইজেড ও জার্মান কো অপারেশনের প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেনের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com