 
							
							 
                    
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। স্থানীয় ৭ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে রাত ১০ টার দিকে।
সোমবার (৯জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা মৌলভীবাজার এলাকায় জাহাঙ্গির আলম (৪০) নামক এক ব্যক্তিকে আটক করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আটকের পর জাহাঙ্গীরকে ছাড়িয়ে নিতে বিক্ষোভ করলে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে বিজিবি’র। এতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে স্থানীয়রা। এর বিপরীতে গুলি ছুঁড়ে বিজিবি।
এতে ১০-১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য দিয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসা আহত ৭ জনের স্বজনরা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা আহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের ০২ নং ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়ার পুত্র রফিক আলম(২৪), ০১ নং ওয়ার্ডের নুরুল আলমের পুত্র মফিজ আলম(২৭), একই ওয়ার্ডের মৃত সৈয়দ আহমদের পুত্র আজিজুর রহমান(৫১), নূর মোহাম্মদের পুত্র নূর মোস্তাফা(১৮), আব্দুল্লাহর পুত্র রায়হান(১৮) এবং মো. আলমের পুত্র ফয়সাল(১৪)।
তবে ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “গত ২৮ মে টেকনাফের হ্নীলা বিওপির টহলদল একটি বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। সে সময় মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলম এর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ব্যক্তি বিজিবির অভিযানে বাধা প্রদান করে এবং অবৈধ জনতা জমায়েত করে দেশীয় অস্ত্রসহ বিজিবি’র ওপর হামলা চালায়।
এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করার কথাও বলা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। ওই মামলা নম্বর- ৬৮/৩৬১।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এরই প্রেক্ষিতে সোমবার বিকাল ৪টার পর বিজিবির একটি টহলদল জাহাঙ্গির আলমকে তার নিজ এলাকা হ্নীলা ইউনিয়নের নাইক্যংখালী থেকে আটক করে। জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা জড়ো হয়ে রাস্তা ব্লক করে। পরে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।”
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয়দের সাথে বা জাহাঙ্গীরের ‘কথিত অনুসারীদের সাথে’ সংঘর্ষ বাঁধার কথা উল্লেখ নেই।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছ ধরার সময় জাহাঙ্গির ও কয়েকজন জেলের সাথে বিজিবির বাড়াবাড়ি ও হাতাহাতি হয়।
স্থানীয়দের দাবি জাহাঙ্গির একজন জেলে। তিনি কোন ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত নয়।
টেকনাফ মৌলভীবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মোসা বলেন, জাহাঙ্গীরকে ফাঁসানো হয়েছে। সে নিরীহ একজন জেলে। তাকে আটক করায় আমরা প্রতিবাদ করি। এতে আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
আরেক বাসিন্দা কফিল উদ্দিন বলেন, বিজিবি আমাদের ওপর অন্যায় ভাবেই গুলি চালিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে বসে সমাধান করতে পারতো, কিন্তু উল্টো আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, এক জেলেকে আটক নিয়ে স্থানীয় ও বিজিবির সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ৭জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।###
 
                                         
                                         
                                         
                                        
Leave a Reply