ডেস্ক নিউজ ৭১:
জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুর ম্যাচ চলাকালীন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, সেখানে মব সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করা হয়। সেখানে ভুলবশত একজন সেনাসদস্য পতাকা বিক্রেতার ওপর লাঠিচার্জ করেন। সে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তাকে ১ লাখ টাকা উপহার দিয়েছে সেনাবাহিনী।
বুধবার (১১ জুন) বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ ও তার প্রতি সমবেদনার স্বীকৃতিস্বরূপ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
গুলিস্থান আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আফজালুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেনাবাহিনী জানায়, মঙ্গলবার (১০ জুন) জাতীয় স্টেডিয়ামে যখন বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুরের ম্যাচ চলছিল, তখনও গেটের বাইরে প্রচুর আগ্রহী দর্শক ভেতরে যাওয়ার আশায় ভিড় করছিলেন, যাদের অধিকাংশের কাছেই টিকেট ছিল না। সেনাবাহিনীসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বারবার মৌখিকভাবে সতর্ক করছিলেন যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। এরই মাঝে ৪ নাম্বার গেটের বাইরে বিনা টিকেটে খেলা দেখতে আসা কিছু মানুষ সব সতর্কতা উপেক্ষা করে একযোগে গেটে চাপ সৃষ্টি করে এবং একপর্যায়ে একটি বিশৃঙ্খল মবের মতো ভিতরে ঢুকে পড়ে। আন্তর্জাতিক খেলা চলাকালীন এই বিশৃঙ্খলা চলতে থাকলে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হতো। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, যেখানে এই মব সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করতে হয়।
এরই মাঝে দুঃখজনকভাবে একজন সেনাসদস্য এক পতাকা বিক্রেতার ওপর লাঠিচার্জ করেন। নিঃসন্দেহে, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একপর্যায়ে আবেগতাড়িত হয়ে তিনি এই অনাকাঙ্ক্ষিত কাজটি করেছেন। তবুও, এমন ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই ঘটনাটি সেনাবাহিনীর নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই পতাকা বিক্রেতাকে খুঁজে বের করা হয়। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্যে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। সেইসঙ্গে তার প্রতি সমবেদনার স্বীকৃতিস্বরূপ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় তিনি আরও উজ্জীবিত হয়ে তার ব্যবসা চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে সবসময় আছে, থাকবে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কারও ক্ষতির কারণ হতে সেনাবাহিনী কখনই চায়না। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে দমন করতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত।###
Leave a Reply