জবাইরুল ইসলাম জুয়েল, কক্সবাজার (টেকনাফ) প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারস্থ এলাকায় ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ইয়াবা ছিনতাইয়ের ঘটনা।
সোমবার (৩০জুন) ভোর ৬ টায় হোয়াইক্যং টু শামলাপুর আই'কে টাওয়ার (২)–এর সামনে দিবালোকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ছিনতাই করেছে দুই রোহিঙ্গা যুবক।
মাদক ছিনতাইয়ের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শামলাপুর আছারবনিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী, হামিদ হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (২৭) ও তার সহযোগী আলী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন রেস্টুরেন্টে কর্মী ও সিএনজি চালক মোস্তফা এবং চায়ের দোকানদার জাহাঙ্গীর জানায়, ছিনতাইয়ের সময় দুই রোহিঙ্গাদের দেখা গেছে, এবং তারা অটো রিকশা (টমটমে) থাকা এক ব্যক্তিকে টানা হেঁচড়ে করতে দেখা যায়।
মামুন নামে আরেক ব্যাক্তি সবকিছু জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, ছিনতাইকারীরা ইয়াবা কেনার কথা বলে এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে আনেন এবং পরে তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে ইয়াবার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেন।
ভাসমান রোহিঙ্গা কর্তৃক এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেখে
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী ফজরের নামাজ পড়ে আসা সাইফুল্লাহর ছেলে মামুন,বলেন, “আমি নামাজ পড়ে এসে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি দুই রোহিঙ্গা যুবক এক ব্যক্তিকে অটোরিকশা টমটমের উপর মারধর করছে,
এসময় আমি সামনে গেলে তারা ‘চোর, চোর’ বলে চিল্লাচিল্লি করছিল এক পর্যায়ে মাদক কারবারি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাদক ছিনতাইকারীরা ও তাদের ধাওয়া করে। পরে আমি একটি সিএনজি নিয়ে তাদের ধাওয়া করি, পরে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে গেলে কিছু দূরে গিয়ে অটো চালক জানায়, তার কাছ থেকে ইয়াবা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা। ইয়াবার কথা শুনে আমি আর বাকি বিষয় শুনতে চাইনি"।
স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক ব্যবসা, টমটম এবং মোটরসাইকেল চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।
এমনকি শামলাপুরে দিবালোকে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড সাইফুল্লাহর ছেলে মোরাদ হত্যায় ও তার সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা,
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাদক ছিনতাইকারী ইব্রাহিম স্বীকার করে বলেন, ঘটনা সত্য তবে মাদক ছিনতাইয়ের পর রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়ার কথা জানায়।
এ ঘটনার পর ছিনতাইকৃত ইয়াবার একটি অংশ খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে এলাকার সাতজন বিক্রেতার মাঝে বিতরণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এক খুচরা বিক্রেতা জানায়, “আমাকে পরীক্ষামূলকভাবে ১ পিস ইয়াবা দিয়েছিল ইব্রাহিম। তার সঙ্গে ছিল সাজিদ ওরফে তানভীর, পিতা সোলেমান।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তানভীর দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। পরে জানা যায়, তানভীর ১ জুলাই বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ‘লিংকরোড’ নামক স্থানে গমন করেন। যদিও প্রতিবেদকের সামনে তানভীর দাবি করেন জরুরি কাজে রামুতে ছিলেন এবং ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে, অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বাবা হামিদ ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানার পর অতীতে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থে কেনা তিনটি টমটম তাৎক্ষণিক বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এ বিষয়ে পরিষদের সদস্য ফরিদ উল্লাহ জানান, রোহিঙ্গা কর্তৃক ইয়াবার চালান ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি, রোহিঙ্গারা দেশের পরিবেশ ধ্বংস করেছে, উখিয়া টেকনাফে শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে অবাধে চলা রোহিঙ্গাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।
যুবদল নেতা বাহার, ইলিয়াস,ও জালাল উদ্দিন জানান"এই ধরণের মাদক ছিনতাইয়ের ঘটনায় রূপ নিচ্ছে অপহরণ ও হত্যার মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ।
প্রশাসনের উচিত এসব অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।”
ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, এই বিষয়ে পুলিশের কিছু করার নেই মাদক সহ পাইলে মামলা দেবো।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক জানান- মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা যতবড় শক্তিশালী হোক না কেন, তাদেরকে আটক করা হবে। মাদক ছিনতাইকারীদের সঠিক তথ্য দিলে অবশ্যই তাদের আটক করা হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com