মোহাম্মদ তোফাইল
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ করিডোর। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শ্রমিক, বন্ধ থাকায় থমকে গেছে সীমান্ত বাণিজ্য, কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেক শ্রমিক।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া কার্যক্রম দীর্ঘ ধরে বন্ধ থাকার পরও গনঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
গরু-মহিষ আমদানি ও কৃষিপণ্য মাছ রপ্তানিসহ নানা কার্যক্রম পরিচালিত হতো এই করিডোর দিয়ে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো.শরিফ মেম্বার বলেন,
“২০২১ সালে করিডোর বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।বন্ধের কারণ হিসাবে তিনি বলেন,দেশের বড় বড় খামারী ব্যবসায়ীরা তাদের গুরু মহিষ বিক্রি করতে না পারার কারণে করিডোর বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মামলা করেছে, সে কারণে হয়তো বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার।বন্ধ হওয়ার কারণে অনেক বব্যসায়ী শ্রমিক কষ্টে আছে।অনেক জনের টাকা পর্যন্ত সেখানে আটকে আছে। কি আর করার এখন অনেক কষ্টে দিন পার করছি। আগে এ করিডোর দিয়ে শত শত গরু মহিষ আমদানি করতাম। এখন সব বন্ধ "
স্থানীয় শ্রমিক আবুল কাশেম জানান, “প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় হতো। এখন কাজ নেই। সকাল থেকে বেকার বসে থাকতে হয়।”
জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এই বিষয়ে বলেন,করিডোরটি আবার চালু করার বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে কবে নাগাদ এটি খুলে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্ত নিরাপত্তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে করিডোর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে স্থানীয় অর্থনীতির ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। প্রয়োজন সুরক্ষা বজায় রেখেই সীমিত পরিসরে বাণিজ্য পুনরায় চালু করা।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল হলেই করিডোর খোলার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।”
তবে ততদিন পর্যন্ত মানবিক বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com