তৌহিদুল ইসলাম রিফাত, কক্সবাজার।
কক্সবাজারের উখিয়ার উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মরিচ্যা পাগলির বিল গ্রামে ইয়াবা লুট নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় শাহ আলম ও আবু’র ছেলে কথিত দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী ইমরানের ২০ হাজার পিস ইয়াবা তিন যুবক লুট করে উধাও হয়ে গেছে।
অভিযুক্ত তিন যুবক হলেন রামুর খুনিয়া পালংয়ের রিজভী, হলদিয়া পালংয়ের ইমরুল ও তার অপর সহযোগী বাবু। গেল (১৩ সেপ্টেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের রাবেতা এলাকায় এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই দুই ইমরান ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা দু’জনে ইয়াবা ব্যবস্যা তরুণ বয়সে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তাদের নেতৃত্বে ৫ থেকে ১০ জনের একটি বিশাল সিন্ডিকেট এলাকায় সক্রিয় রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন সন্ধ্যায় দুই ইমরান একটি ইজিবাইক (মিনি টমটম) নিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা বহন করে রাবার ড্রাম এলাকা হয়ে খুনিয়া পালংয়ের রাবেতা এলাকায় পৌঁছান। সেখানে তিন যুবক ইয়াবার চালান লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ছবিতে থাকক দুই ইমরান তরুণ ও উঠতি বয়সী ছেলেদের ব্যবহার করে ইয়াবা বহন করান। এর মাধ্যমে এলাকায় মাদকের এক ভয়াবহ নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। এমনকি সিএনজি চালক আবুর ছেলে এমরান তার ব্যবস্যা আরও সুদৃঢ় করতে বালুখালী এলাকা থেকে এক শীর্ষ মাদক কারবারি মেয়েকে অর্ধকোটি টাকা ব্যয় করে বিয়ে করে মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এমরানের বাবা আবু এক সময় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে তারা কোটি টাকার মালিক ও বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাণ করে আলিশান জীবন-যাবন করছে। আবুর ছেলে এমরান এনজিও চাকরির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিয়মিত বালুখালী তার শ্বশুরবাড়ি থেকে মাদক নিয়ে আসে পাগলির বিলে এবং পরে কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে বলে স্থানীয়দের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান সহ দ্রুত এ ইয়াবা সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পাগলির বিল বাসী।
মাদকদ্যব্র নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফা মুকুল- মাদক লুটপাটের ঘটনা শুনেছি তবে দুই ইমরান সহ জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক জানান, ইয়াবার চালান উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply