সংবাদ দাতা টেকনাফ।
টেকনাফের প্রথম ঐতিহ্যবাহী নারী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধ্যাত্মিক জগতের মহান সাধক ডক্টর গাজী কামরুল ইসলাম এর হাতে গড়া রঙ্গিখালী খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মহিলা দাখিল মাদ্রাসার নবগঠিত এডহক কমিটির বরণ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে মাদ্রাসার হল রুমে সহকারী মাওলানা আলী হোসাইন এর পরিচালনায় তা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফকরুল ইসলাম ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবি এডঃ নুর মোহাম্মদ মামুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটির অভিভাবক সদস্য সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী জুহুর আলম, এডঃ মাহবুবুর রহমান, ইব্রাহীম খলীল, কলিম উল্লাহ, রংগীখালী ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্য সাংবাদিক নাছির উদ্দীন রাজ, মাওলানা নুর মোহাম্মদ, নুরুল কবির শাহীন, মাষ্টার জামাল উদ্দিন , সহ সুপার মাওলানা মঞ্জুর আহাম্মদ, সেলিম সর্দার, মোহাম্মদ আলম, সাকাওয়াত হোসাইন, কামাল উদ্দীন, এডঃ আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহ মনির, মিজানুর রহমান সহ আরো অনেকেই।
সভাপতি এডঃ নুর মোহাম্মদ মামুন বলেন, মহিলা মাদ্রাসা আমাদের জন্য একটি বড় সম্পদ। এখান থেকে সমাজের অবহেলিত নারীরা এবং মফস্বল এলাকার মা বোনেরা পড়ালেখা করে দেশ ও জাতির সেবা করার জন্য তৈরি হবে। তাই এই মাদ্রাসার শিক্ষার সুন্দর ও আধুনিক পরিবেশ তৈরী করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব । আমি মাদ্রাসার সভাপতি হয়েছি এটি বড় কিছু নয়, এই মাদ্রাসার জন্য আমি ভবিষ্যতে কি করতে পারব সেটাই আমার দেখার বিষয়। আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা থাকলে আগামীতে এই রঙ্গিখালী মহিলা মাদ্রাসাকে টেকনাফের সর্বোচ্চ ভালো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
শিক্ষক মন্ডলীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় যত ভালো কমিটি হোক না কেন? শিক্ষকেরা যদি ছাত্রীদের নিজেদের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব মনে করে পাঠদান না করান, তাহলে আমরা কিছু করতে পারবো না। ভবিষ্যতে এই মাদ্রাসার সমস্ত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য কাজ করব ইনশাল্লাহ।
অভিভাবক সদস্য জুহুর আলম বলেন, মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। একজন মেয়েকে শুধু প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিয়ে পিতা মাতার দায়িত্ব শেষ নয়। সেই মেয়েটি প্রতিষ্ঠান থেকে গিয়ে বাড়িতে পড়ালেখা করছে কিনা অথবা মাদ্রাসায় নিয়মিত আসছে কিনা সেটিও তদারকি করার দায়িত্ব শিক্ষক, কমিটির পাশাপাশি অভিভাবকেরও রয়েছে। তাই আমি বলব, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য সকলের সমান সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে সভাপতি এবং সদস্য সহ অতিথিবৃন্দরা মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনায় এবং প্রতিষ্ঠাতা ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
Leave a Reply