নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফে এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। হাত বাড়ালে পাওয়া যাচ্ছে সুপারি। সুপারির মৌমৌ গন্ধে প্রাণ জুড়ে যায়। বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে কাচা-পাকা সুপারির থোকা। নজর কাড়ছে ক্রেতা সাধারণের। বাজারে এসে রঙ্গিন সুপারির দেখে মনে হয় স্বর্ণের খণিতে ঘোরাফেরা করছি। টেকনাফ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩ টি উপকূলিয় ইউনিয়ন বাহার ছড়া, সদর ও সাবরাং এ প্রচুর পরিমান সুপারির বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া সুপারি চাষের অনুকূলে থাকায়, প্রচুর সুপারি ফলন হয়েছে। যা গত ২৪ সালের দ্বিগু বলা চলে। কয়েক জন সুপারি চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন না হওয়ায় এবং রীতিমত বৃষ্টি হওয়ায় গাছে প্রচুর সুপারির ফলন হয়েছে। এর পেছনে উপজেলা কৃষি সম্প্রচারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ, কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগ ও সার প্রয়োগের মাধ্যমে সুপারির ফলন আরো বেশি হয়েছে। চলতি মৌসুমে যে সুপারির ফলন হয়েছে প্রতিটা সুপারি পরিপূর্ণ ও খাওয়ার উপযোগি হওয়ায় টেকনাফের ক্রেতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে আসা পর্যটকেরা ১০ -২০ কন করে সুপারি নিয়ে যাচ্ছে। ক্রেতা সাধারনেরা জানান, গত বছরের চেয়ে চলিত বছরে সুপারির দাম অনেকাংশে কম।
টেকনাফের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ জানান, আমরা প্রতি বছর টেকনাফ থেকে সুপারি ক্রয় করে রংপুর, বগুড়া, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালান দিয়ে থাকি। কিন্তুু সুপারির গুণগত মান না থাকায় লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে বেশি। কিন্তুু চলতি মৌসুমে সুপারির দামও যেমন সস্থা ও গুণগত মান ভাল হওয়া প্রচুর লাভবান হচ্ছি। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে চলতি মৌসুমে টেকনাফের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে পাকা সুপারিশ সংগ্রহ করে সংরক্ষণ ও নার্সারি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। মৌসুমের উৎপাদিত সুপারি চলতি অক্টোবর পুরো মাসে চলবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুপারির বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কেননা গত বছর এ সময়ে প্রচুর লোকসান গুনে ছিল তারা। চলতি মৌসুমে সুপারির বাম্পার ফলন হওয়ায় ঐ সুপারি বিক্রি করে তারা গত বছরে দেনা- পাওনা পরিশোধ করতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, চলতি মৌসুমে টেকনাফ উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়নে ১২শ ৬০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা রেকর্ড বলা চলে। এদের অধিকাংশ সুপারি চাষিকে অধিন ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যে তাদের কে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ, কৃষি উপকরণ ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত চাষি আর্থিক ভাবে দুর্বল তাদের কে সহজ পদ্ধতিতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রতিটি ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com