বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজারের টেকনাফে মানবপাচারের রহস্য পাহাড় খ্যাত কচ্ছপিয়া পাহাড়। যেখানে পাচারের জন্য বন্দী রাখা হয় শত-শত নারীশিশু-পুরুষ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে প্রতিনিয়ত অপহৃত ও বন্দিদের উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে এ পাহাড়ে। তবে মূল হোতারা রয়ে গেছে আড়ালে।
কচ্ছপিয়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহিম, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৮ ওয়ার্ডের সহসভাপতি। প্রভাব খাটিয়ে মানবপাচারের রুট স্থানীয় ভাষায় বলে "এয়ারপোর্ট" গড়ে তুলেন উল্লেখিত এলাকায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, শীলখালী এলাকায় চারটি নৌকার মালিক তিনি। এসব নৌকাকে ব্যবহার করেই তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানব-মাদক ও মিয়ানমারে অবৈধ পন্য পাচারের সাথে জড়িত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়াতে অবস্থিত আব্দুর রহিমের বাড়ির পেছনের অংশে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে মানুষজনকে বন্দী রাখেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বহু পাচারকারীকে আটক ও জিম্মিদের উদ্ধার করলেও এই আওয়ামী লীগ নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "একজনের এত সম্পত্তি কীভাবে হয়! গাড়ি-বাড়ি, জমি-জমা, ব্যাংকে টাকা—সবই তো অবৈধ পথে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আবদুর রহিমের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, 'এই নামের অনেকে আছে আওয়ামী লীগ করে। চিনতে পারছি না এখন। তবে মানবপাচারের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ এই ইউপি সদস্য।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয় বিশ্বাস জানান, এ ধরনের অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com