বার্তা পরিবেশক ;
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পশ্চিমপাড়ার একই পরিবারের দুই সন্তানের ভোটার হওয়া নিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় পত্রিকা দেশবিদেশসহ কয়েকটি ভূয়া অনলাইন নিউজে ভূমি খেকোর পক্ষ থেকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। এই অভিযোগকে পুরোপুরি মিথ্যা ও মানহানিকর বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
আমান উল্লাহকে রোহিঙ্গা দাবি করে তার সন্তান—ছমিরা আকতার ও মো: রিদুয়ানের ভোটার কার্ড বাতিলের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন রিদুয়ান ও ছমিরা। তাদের দাবি, তারা ভোটার হওয়ার সময় আইনসম্মতভাবে সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছেন এবং পূর্বপুরুষসহ সবাই বাংলাদেশী নাগরিক।
ছমিরা আকতার তাঁর পূর্ব পুরুষ পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, আমার পরদাদা মৃত আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমানের চার সন্তান
১. মৃত সোনালী
২. মৃত হাজী আব্দুল্লাহ
৩. মৃত আলী আহমদ সাওদাগর
৪. মৃত হাজী আব্দুল গফ্ফার
ঠিকানা : শাহ পরীর দ্বীপ, বাজার পাড়া, ৮ নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার
আমার দাদা : মৃত সোনালী
সোনালীর তিন সন্তান
১. মৃত খতিজা
২. আমান উল্লাহ
৩. মৃত শফি উল্লাহ
আমার বাবা আমান উল্লাহ, আমার চাচা শফি উল্লাহ ১৯৯৪ সালে লেদা হাজী মকতুল হোসাইন এর কাছ থেকে ৩৯ শতক জায়গা ক্রয় করে আমার বাবাকে সেই ভিটায় থাকতে দেয় এবং আমার চাচা তখন থেকে সৌদি আরব চলে যান। আর আমাদের যাবতীয় ডকুমেন্টস সেই ভিটার অবস্থানে।
১৯৯৪ থেকে লেদা বরইগাছতলা আমাদের বসতভিটা, আমাদের জন্ম সেই বসতভিটায় আর পড়াশুনা শুরু হয় বাড়ির পাশের ইবনে আব্বাস মাদ্রাসা থেকে। ২০০৭ সাল থেকে আমার বাবার সাথে একজনের জায়গার বিরোধ হয় এবং মৃত্যুর হুমকি দেয়। দীর্ঘ ১৭ বছর বাবা ভবঘুরে।
ওনার মস্তিষ্কে এখনো সেই একই কাজ করে মৃত্যুর ভয়টা কেটে ওঠতে পারেনি।
ছমিরা আকতার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রক্রিয়ায় পরিবার-স্বজনদের যাবতীয় দলিলাদি জমা দেওয়া হয়েছে। ভুমিধস্যু স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলম গং অসৎ উদ্দেশ্যে পিতার নামে ভুয়া আইডি কার্ড জমা দেওয়ার মিথ্যা তথ্য রটিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলেন, মোহাম্মদ আলম ওয়ারিশ সম্পত্তি ভাগিয়ে নিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত শত্রুতা ও ঈর্ষা থেকে তাদের হয়রানি করে আসছেন। তথ্যগুলো একপেশে ও সম্পূর্ণ বানোয়াট। বিশেষ করে, পিতার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা একটি নৃশংস ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়, যা পরিবারের মানহানি ঘটাচ্ছে। তারা মনে করেন, এটি একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা যার মাধ্যমে জমি হাতিয়ে নিতে চক্রান্ত চলছে।
তাঁরা আরো বলেন, "আমরা বাংলাদেশী। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। আমরা আশা করি, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হবে এবং আমরা ন্যায়বিচার পাবো।
এমনকি একটি স্থানীয় দৈনিক সহ নামে-বেনামে বিভিন্ন ওই ভুঁইফোড় অনলাইন ও ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ গুলো শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com