বার্তা পরিবেশক :
আদালতের রায় ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়া এলাকায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এক ভ্যান চালকের
বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও প্রায় ১১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যান চালক ও তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়, নতুন পল্লান পাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ কামাল গত ২৫/০৯/২০১১ইং তারিখে আবুল কালামের কাছ থেকে বি,এস ১৯৫৮নং খতিয়ানের অধীনে ২০ কড়া জমি ক্রয় করে সেখানে ঘর নির্মাণ ও বসবাস করে আসছেন। জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রেতা আবুল কালাম জমিটি থেকে সৈয়দ কামালকে বেদখল করার চেষ্টা শুরু করেন।
এ নিয়ে পূর্বে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে, গত ১৮/০৬/২০২৫ইং তারিখে সহকারী জজ আদালত, টেকনাফ-কক্সবাজার কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিবাদী আবুল কালাম পুনরায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার বরাবরে এম,আর মামলা নং-৪৪৩/২০২৪ইং কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা দায়ের করেন। গত ০৪/০৯/২০২৪ইং তারিখে উক্ত মামলাটিও খারিজ হয়ে যায়।
আদালতের এই আদেশগুলোতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহেদুল ইসলাম, মুবিনুল ইসলাম প্রঃ রুবেল, রেহেনা আক্তার, আবুল কালাম, শামশুন নাহার, সাবেকুন্নাহার সহ ৩/৪ জন সৈয়দ কামাল ও তার তার স্ত্রী হাজেরা খাতুনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
ভ্যান চালকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন জানান, দা, কিরিচ, লাঠি ও লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবেস্ত্রী বসত ভিটায় প্রবেশ করে ঘেরা-বেড়া কেটে ভাঙচুর শুরু করে। তিনি ও তার স্বামী বাধা দিলে তাদের উপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা করে। প্রাণের ভয়ে তারা পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবগত করেন। সেই সুযোগে
এই জাহেদুল ইসলাম গং ঘরে ঢুকে আলমিরার গ্লাস ও লক ভেঙে নগদ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা তাঁর ব্যবহৃত ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান কাপড়-চোপড় লুট করে নিয়ে যায়।
এ-সময় বিবাদীরা ভুক্তভোগী দম্পতিকে সামনে দেখে এই বিষয়ে মামলা করলে বা বসত ভিটা থেকে চলে না গেলে পরবর্তীতে খুন করা হবে এবং ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনার পরপরই ৯৯৯-এ কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাদের পরামর্শে ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করার পর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং লুট হয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি বিবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা সম্পাদক : জহির আহমদ, টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
অফিস : আবু সিদ্দিক মার্কেট, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৯০৭-৭৫৮২৫০, ০১৮৫১-৯২৯৬৫৮
Developed By : AzadWebIT.Com