
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রধান এই মহাসড়কটি মানুষের জীবনে দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে, ঝরছে তরুণ-তরুণী, শ্রমজীবী, পর্যটক, ছাত্রসহ অগণিত মানুষের জীবন।
এই পথে দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হলো: অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সংকীর্ণ লেন, বিপজ্জনক বাঁক, ট্রাফিক শৃঙ্খলার অভাব, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ওভারটেকিং-এর প্রবণতা, ওভারস্পিড এবং অদক্ষ চালক। সব মিলিয়ে এই পথটি এখন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
গত ৫ই নভেম্বর মার্কেটিং বিভাগের একজন বড় ভাইয়ের পরিবারের ৫ জন সদস্য এই মহাসড়কের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। চলতি বছরের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই মহাসড়কে মোট ৮৪ জন নিহত এবং ১৩২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
দুঃখজনকভাবে, এই মহাসড়ককে চার বা ছয় লেনে উন্নীত করার সরকারি পরিকল্পনা বছরের পর বছর ফাইলবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে।
চাকসু শাহজালাল হল সংসদে সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক টেকনাফের সন্তান মাহমুদুর রহমান তামিম প্রশ্ন তুলেছেন, আর কত প্রাণ গেলে সরকারের টনক নড়বে?
তিনি নিরাপদ সড়ক ও উন্নত অবকাঠামোর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, অতিদ্রুত চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ককে ৪–৬ লেনে উন্নীত করার জোর দাবি জানান তিনি।
Leave a Reply